পানশিউলি গ্রামের রাস্তায় বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূলের বিরুদ্ধে দলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই-সহ কয়েকজনের উপরে হামলা চালানোর অভিযোগ করেছে বিজেপি। গাড়ি ভাঙচুরও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুর (লাউদোহা) থানার সামনে ঘটনাটি ঘটে। তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিজেপি জানিয়েছে, ‘দোষী’দের গ্রেফতাররের দাবিতে আজ, শুক্রবার মহকুমাশাসকের (দুর্গাপুর) কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হবে।
লক্ষ্মণবাবু সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, ‘‘থানা থেকে বেরনোর সময়ে প্রথমে বাঁশ, রড, লাঠি দিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করে তৃণমূল। প্রতিবাদ জানালে তৃণমূল নেতা সুজিত মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমাদের উপরে হামলা চালানো হয়। গত লোকসভা ভোটে পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা এলাকায় মানুষ বিজেপিকে সমর্থন করেছেন। সেই রাগ থেকেই এই হামলা।’’ যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুজিতবাবু।
বিজেপি জানায়, লক্ষ্মণবাবু-সহ তাঁদের মোট ন’জন নেতা, কর্মী জখম হন। তাঁদের দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে, বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হলেও ভর্তি করা হয় বিজেপির শিক্ষক মোর্চার নেতা বিকাশ বিশ্বাসকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার স্থানীয় পানশিউলি গ্রামে অশান্তি বেধেছিল। বিজেপির অভিযোগ, গ্রামে দলের নেতা সরোজ বাউড়িকে বাড়ি থেকে এলাকার তৃণমূল কার্যালয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। পাশাপাশি, এক বিজেপি কর্মীর দোকানেও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে এ দিন লক্ষ্মণবাবুর নেতৃত্বে বিজেপি-র এক প্রতিনিধি দল গ্রামে যায়। বিজেপির অভিযোগ, পানশিউলি গ্রামে ঢুকতে প্রতিনিধি দলকে বাধা দেওয়া হয়। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে প্রতিবাদ শুরু করেন তাঁরা। পুলিশ তাঁদের কথাবার্তা বলার জন্য থানায় আসতে বলে। সেখান থেকে বেরিয়েই এই ঘটনা বলে অভিযোগ।
তবে, তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ (খাদ্য) সুজিতবাবু বলেন, ‘‘গ্রামে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করেছিল বিজেপি। গ্রামবাসী প্রতিবাদ করেন। আমরা কাউকে মারধর করিনি। দলের কেউ কোথাও হামলা চালাননি।’’
পুলিশ জানায়, সন্ধ্যা পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ জমা না পড়লেও, পরে তা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।