West Bardhaman

West Bardhaman: স্কুল খুলল, ‘উপেক্ষিত’ বিধি

জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোভিড-বিধি মেনে স্কুল পুরো মাত্রায় চালু করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২২ ০৭:৫৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রায় দু’মাস গরমের ছুটির শেষে, সোমবার থেকে পশ্চিম বর্ধমানেও পূর্ণমাত্রায় চালু হল স্কুল। কোভিড-বিধি মেনে সব কাজ হয়েছে বলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা দাবি করলেও, বেশ কিছু স্কুলে সে বিধি উপেক্ষিত হয়েছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোভিড-বিধি মেনে স্কুল পুরো মাত্রায় চালু করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। জেলার ১,০১৩টি প্রাথমিক স্কুল ও প্রায় ২৯৭টি উচ্চ বিদ্যালয়ে পঠনপাঠন হয়েছে বলে শিক্ষা দফতরের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন। জেলার দুই স্কুল পরিদর্শক—সুনীতি সাঁপুই (মাধ্যমিক) ও দেবব্রত পাল (প্রাথমিক) জানিয়েছেন, শনিবার ও রবিবারের মধ্যে প্রত্যেক স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের স্কুল পরিষ্কার করার পাশাপাশি, জীবাণুনাশক ছড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সে সব কাজ ঠিক মতো হয়েছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, আধিকারিকেরা। স্কুল পরিদর্শক দেবব্রত ও সুনীতি জানিয়েছেন, এ দিন পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার ছিল যথাক্রমে ৮৫ ও ৫৭ শতাংশ।

সকালে আসানসোলের বেশ কয়েকটি স্কুলে দেখা গেল, প্রবেশের আগে পড়ুয়াদের হাতশুদ্ধি দেওয়া হচ্ছে। বেঞ্চে নির্দিষ্ট দূরত্বে বসানো হচ্ছে তাদের। তবে কোভিড-বিধি মনে চলাতে, তাঁদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে বলে জানালেন প্রথামিক স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বারাবনির একটি স্কুলের শিক্ষিকা পারমিতা দত্ত বলেন, “বাচ্চারা অবুঝ। তাই এক বা দু’বার বললেও হচ্ছে না। অনেক দিন পরে, স্কুলে এসেছে। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়েছে। তাই দূরে দূরে রাখা যাচ্ছে না।”

Advertisement

স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) এ দিন আসানসোল ওল্ড স্টেশন হাইস্কুল ও ঊষাগ্রাম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। ওল্ড স্টেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনুপম ভট্টাচার্য জানান, স্কুলে মাস্ক ও হাতশুদ্ধি রাখা হয়েছিল। রানিগঞ্জে সিহারসোল রাজ উচ্চ বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার ছিল প্রায় ৯০ শতাংশ। প্রধান শিক্ষক তাপস চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, কোভিড-বিধি মেনে পঠনপাঠনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুর্গাপুর, কাঁকসা, বুদবুদ এলাকার স্কুলগুলিতেও পড়ুয়া-উপস্থিতির হার মোটামুটি ভালই ছিল। দুর্গাপুরের নেপালিপাড়া হিন্দি হাইস্কুল, দুর্গাপুর প্রজেক্ট বয়েজ হাইস্কুল ও গোপালমাঠ হাইস্কুলে উপস্থিতির হার ছিল যথাক্রমে ৭৬, ৬২ ও ৬৩ শতাংশ। দুর্গাপুরের একটি স্কুলে দেখা গেল, অনেক পড়ুয়াই মাস্ক ছাড়াই স্কুলে এসেছিল। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, মাস্ক পরতেই হবে, তেমন কোনও সরকারি নির্দেশ ছিল না। তবে পরের দিন থেকে সকলকে মাস্ক পরে আসতে বলা হয়েছে।

স্কুল খোলায় খুশি পড়ুয়া থেকে শিক্ষকেরা। কাঁকসার অষ্টম শ্রেণির রুদ্র পাত্র ও রনি মুখোপাধ্যায়, নবম শ্রেণির সুদীপ্তা রুইদাস ও মমতা মুর্মুদের প্রতিক্রিয়া, “অনেক দিন স্কুল বন্ধ ছিল। আজ আসতে পেরে খুব ভাল লাগছে। এ বার পুরোদমে ক্লাস করতে চাই।” ত্রিলোকচন্দ্রপুর জরিলাল স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুজন সোম বলেন, “পড়ুয়াদের ফিরে পেয়ে ভাল লাগছে।”

রাজ্য কোভিড মনিটরিং কমিটির পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার কো-অর্ডিনেটর সমরেন্দ্রকুমার বসু জানান, স্কুল চালু করাটা খুব জরুরি ছিল। তেমনই জরুরি কোভিডের নিয়ম মেনে চলাও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement