কয়লা পাচার মামলার তদন্তে প্রভাব খাটাতে পারবেন না অভিযুক্ত কোলিয়ারি কর্তারা। আদালতের এ দাবি করেন তাঁদের আইনজীবী। —প্রতীকী ছবি।
কয়লা পাচার কাণ্ডে ধৃত দুই কোলিয়ারি কর্তার জামিন মঞ্জুর করল না আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। সোমবার তাঁদের আবার জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য হয়েছে ১২ জুন।
এই মামলায় অভিযুক্ত ইসিএলের প্রাক্তন ডিরেক্টর (টেকনিক্যাল অপরাশেন) তথা প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত সিএমডি সুনীলকুমার ঝা এবং সিআইএসএফের ইনস্পেক্টর আনন্দকুমার সিংহকে সোমবার আসানসোলের আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। তবে জামিন না হওয়ায় তাঁদের পুনরায় জেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
সিবিআই সূত্রে খবর, সোমবার শুনানি চলাকালীন কোলিয়ারি কর্তাদের আইনজীবী শেখর কুন্ডুর দাবি করেন, ভিন্রাজ্যে থাকায় তদন্তের প্রভাব খাটাতে পারবেন না তাঁর মক্কেলরা। আদালতে আইনজীবী বলেন, ‘‘পুলিশের মদত ছাড়া কয়লা পাচার করা সম্ভব নয়। কয়লা চুরি করার পর সেগুলি তো রাস্তা দিয়ে যেত। কিন্তু এই মামলায় কোনও পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠেনি। অভিযুক্তদের মধ্যে সুনীলকুমার ঝা ভিন্রাজ্যে থাকেন এবং ফরাক্কার বাসিন্দা আনন্দকুমার সিংহ। তাই তাঁরা কোনও ভাবে তদন্তে প্রভাব খাটাতে পারবেন না।’’
আদালতে সিবিআই আইনজীবী রাকেশ কুমারের দাবি, ‘‘এঁরা (ধৃত দুই কর্তা) অত্যন্ত প্রভাবশালী। বর্তমানে যাঁরা সিবিআইয়ের নজরে রয়েছেন, তাঁদের অত্যন্ত কাছের মানুষ এঁরা। তাই এঁদের জামিন দিলে মামলার তদন্তে সমস্যা হবে। তাঁদের ধরা যাবে না। ৪ দিনের হেফাজতে নিয়ে এঁদের থেকে যে সমস্ত তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তার তদন্ত এখন চলছে।’’
বিচারকের কাছে নিজেকে নির্দোষ হিসাবে দাবি করেন আনন্দকুমার। তিনি বলেন, ‘‘অসম এবং বিহার নির্বাচনের সময় কাজ করেছি। সে সময় অনেক ছুটি নেওয়া ছিল। তাই এ অভিযোগ ঠিক নয়।’’ যদিও সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর দুই কোলিয়ারি কর্তাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক চক্রবর্তী।