দুর্গাপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি— পিটিআই।
জিটিএ ভোটের ফলপ্রকাশের পর পাহাড়বাসীকে অভিনন্দন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘পাহাড়ের মানুষে যে ভাবে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটে অংশ নিয়েছেন, সে জন্য তাঁদের ধন্যবাদ।’’ প্রসঙ্গত, জিটিএ ভোটে ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা অধিকাংশ আসন দখল করেছে। কিন্তু পাহাড়ে ভালই দাগ কেটেছে তৃণমূল। এই ভোটে প্রথম বার প্রার্থী দিয়ে অর্ধেক আসনেই জয়লাভ করেছে রাজ্যের শাসকদল।
বহু টানাপড়েনের পর পাহাড়ে শেষ হয়েছে জিটিএ ভোট। মোট ৪৫ আসনের মধ্যে অধিকাংশ আসনে জয়লাভ করেছে অনীত থাপার দল। ১০টি আসনে প্রার্থী দিয়ে পাহাড়ে প্রথম বারই সন্তোষজনক ফল করেছে তৃণমূলও। এই প্রেক্ষিতে দুর্গাপুরের প্রশাসনিক সভা থেকে পাহাড়বাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
গ্রাফিক— সনৎ সিংহ।
তবে তৃণমূলের ভাল ফলাফলের চেয়েও সামগ্রিক পাহাড়ের শান্তিপূর্ণ ভোটপ্রক্রিয়ায় যে তিনি যে তৃপ্ত, এ দিন তা-ও স্পষ্ট হয়েছে মমতার ভাষায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘দার্জিলিঙের মানুষকে কনগ্র্যাচুলেট (অভিনন্দিত) করছি। আমরা খুশি। শান্তিপূর্ণ ভাবে পাহাড়ের মানুষ ভোটে অংশ নিয়েছেন, তাঁদের ধন্যবাদ। আমাদের সঙ্গে অনীতের জোট হয়েছিল। ওঁরাও ভাল করেছেন।’’
প্রসঙ্গত, ২০১১-য় ক্ষমতায় আসার পর শিলিগুড়ির অনতিদূরে ‘পিনটেল ভিলেজে’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা, তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম ও পাহাড়ের প্রতিনিধি হিসেবে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রধান বিমল গুরুংয়ের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক জিটিএ চুক্তি হয়েছিল। তার পর তিস্তা, বালাসন দিয়ে বহু জল বয়ে গিয়েছে। সে দিন চুক্তির অন্যতম স্বাক্ষরকারী বিমল জিটিএ ভোট বয়কট করেছেন। নেই বিজেপিও। এই পরিস্থিতিতে জিটিএ ভোটে তৃণমূল এবং তার জোটসঙ্গীর ফলাফল পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণ বদলের ইঙ্গিত কি না, তা নিয়ে শুরু হয়েছে নয়া জল্পনা।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।