সংঘর্ষে আহত। নিজস্ব চিত্র।
ভোট এগিয়ে আসতেই তেতে উঠছে কেতুগ্রাম। বুধবার বিজেপির টাঙানো পতাকা খুলে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কেতুগ্রামের আনখোনা গ্রামে দু’দলের সংঘর্ষে জখম হয়েছেন উভয়পক্ষের পাঁচ জন। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির ইটের ঘায়ে তাঁদের দুই কর্মীর মাথা ফেটে গিয়েছে। মহিলা কর্মীদের মারধর করা হয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেছে বিজেপি। পুলিশের দাবি, গ্রামে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বসেছে পুলিশ পিকেট। দু’দলের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তও শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির কেতুগ্রাম ৪৫ নম্বর জেড পি-র মহিলা মোর্চার সহ-সভানেত্রী রুনা লায়লা আনখোনা বাসস্টপের কাছে নিজের বাড়ির সামনে দলীয় পাতাকা টাঙান। ওই পতাকা তৃণমূলের লোকজন খুলে পুড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার দু’দলের মধ্যে অশান্তিও হয়। এ দিন সকালে ফের ওই ঘটনার জেরে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা থেকে মারামারি শুরু হয়ে যায় বলে অভিযোগ। ইটের ঘায়ে মাথা ফাটে কাঞ্চন শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মীর। খবর ছড়াতেই ওই বিজেপি নেত্রীর বাড়ির সামনে তৃণমূলের লোকজন জড়ো হয়ে পাল্টা হুমকি দিতে শুরু করে বলে অভিযোগ। উত্তেজনা বাড়ায় খবর পৌঁছয় পুলিশের কাছে।
রুনা লায়লার দাবি, ‘‘বিজেপি করি বলে তৃণমূলের গুন্ডারা অনেকদিন ধরেই আমাদের নানা ভাবে শাঁসানি দিচ্ছে। ইচ্ছাকৃত ভাবে আমাদের পতাকা খুলে পুড়িয়ে দিয়েছে। প্রতিবাদ করায় ওরা আমাদের বাড়ির সামনে এসে জড়ো হয়। গালিগালাজ করে। বাড়িতে ইটও ছোড়ে। দলীয় নেতৃত্ব ও পুলিশকে সব জানিয়েছি।’’ বিজেপির মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদক সীমা ভট্টাচার্যেরও দাবি, ‘‘তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাদের ওই মহিলা কর্মীর বাড়ির সামনে টাঙানো পতাকা খুলে পুড়িয়ে দেয়। প্রতিবাদ করায় হামলা চালায়। কয়েকজন জখম হয়েছে। খবর পেয়ে আমরা কাটোয়া থেকে গেলেও আনখোনায় ঢুকতে পারিনি। পুলিশকে বলেও কাজ হয়নি। ভোট এগিয়ে আসতেই তৃণমূল সন্ত্রাস শুরু করেছে।’’
অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের কেতুগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি তরুণ মুখ্যোপাধ্যায়ের পাল্টা দাবি, ‘‘বৃহস্পতিবার পাঁচুন্দিতে আমাদের নেতা অনুব্রত মণ্ডলের সভার প্রচারের জন্য কর্মীরা পতাকা লাগাচ্ছিলেন। সেই সময়ে বিজেপির লোকজন আমাদের পতাকা খুলে দেয়। প্রতিবাদ করতেই মারধর করে। ওদের ছোড়া ইটের আঘাতে আমাদের এক কর্মীর মাথা ফেটে যায়।’’