রাস্তায় ধরেছে ফাটল। নিজস্ব চিত্র
কেউ রাস্তা নিয়ে সরব হলেন, আবার কেউ নালিশ করলেন দলেরই নেতার বিরুদ্ধে। কেতুগ্রামের পরে আউশগ্রামেও এমন নানা ক্ষোভের কথা উঠে এল অনুব্রত মণ্ডলের কর্মিসভায়। সে সব শুনে সমস্যা মেটাতে নির্দেশ দিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত।
রবিবার আউশগ্রাম ১ ব্লকের তিনটি পঞ্চায়েতের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক ছিল। সেখানে আউশগ্রামের বেরেন্ডা অঞ্চলের কুরুম্বা গ্রামের তৃণমূল কর্মী নবকুমার ঘোষ অভিযোগ করেন, কুরুম্বা বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রামের ভিতর পর্যন্ত যে ঢালাই রাস্তা তৈরি হয়েছে, ছ’মাসেই তা ফেটে গিয়েছে। ওই রাস্তা কে তৈরি করেছেন, জানতে চান অনুব্রত। জানা যায়, রাস্তা তৈরির দায়িত্বে ছিলেন আউশগ্রাম ২ ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি শেখ আব্দুল লালন। তাঁকে রাস্তা মেরামতের নির্দেশ দেন অনুব্রত। দলের আউশগ্রাম ১ ব্লক সভাপতি শেখ সালেক রহমানের সঙ্গে কথা বলে অনুব্রত জানান, পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ থেকে ওই রাস্তা তৈরি হয়েছে। পাঁচ বছর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ঠিকাদারের।
পরে নবকুমারবাবু দাবি করেন, অনেক দিন ধরে দাবি জানিয়ে ওই রাস্তার কাজ মঞ্জুর হয়। প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে বছরখানেক আগে রাস্তা তৈরি হয়েছে। ছ’মাসের মধ্যে তাতে ফাটল ধরেছে। এর জেরে দলের দুর্নাম হচ্ছে। সে কারণেই তিনি বিষয়টি এ দিনের সভায় তুলেছেন বলে জানান। দলের ওই অঞ্চলের সভাপতি হাকিম শেখের বক্তব্য, ‘‘কর্মীদের কাছ থেকে মানুষের সমস্যার কথা শোনার জন্যই কেষ্টদা (অনুব্রত) সভা করছেন। ওই কর্মী সমস্যার কথা জানিয়েছেন।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাস্তার সমস্যা নিয়ে ব্লক প্রশাসনের কাছে এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। ঠিকাদার সংস্থার অবশ্য দাবি, মাটির সমস্যার জন্য রাস্তা ফেটে গিয়েছে। এক বার মেরামতও করা হয়েছে। ফের তা মেরামত করা হবে।
এ দিনের সভায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, জবকার্ড নিয়েও অভিযোগ জানান কর্মীদের একাংশ। মঞ্চ থেকেই প্রশাসনের কর্তাদের ফোন করে বিষয়গুলি দেখার অনুরোধ জানান অনুব্রত। আউশগ্রাম অঞ্চলের করোটিয়া গ্রামের এক বুথ সভাপতি এ দিন দলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানান। অনুব্রতর কাছে তাঁর অভিযোগ, ‘‘আপনি যা নির্দেশ দেন, অঞ্চল সভাপতি ঠিক তার উল্টো করেন।’’ ব্লক সভাপতি শেখ সালেক রহমান জানান, অঞ্চল সভাপতিকে কর্মীদের সঙ্গে বসে সমস্যা মেটানোর নির্দেশ দিয়েছেন।