জেলা জজের সই নকল করে পরীক্ষা নিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছিল আদালতেরই এক কর্মীরা বিরুদ্ধে। বুধবার সিআইডির তরফে রিপোর্টে জানানো হল, বাজেয়াপ্ত নথি ও অভিযোগকারীদের থেকে পাওয়া চেকের সাক্ষর একই ব্যক্তির।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে জেলা আদালতে বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি বের হয়। পরীক্ষা নেওয়া হয় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর। অনেক পরীক্ষার্থী অ্যাডমিট হাতে নিয়েও পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে পারেননি। জেলা আদালতে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, অ্যাডমিট কার্ডগুলি জাল। তৎকালীন জেলা জজ পবনকুমার মণ্ডল তদন্তে নেমে আদালতের কর্মী বৈশালীদেবীর নাম পান। তিনি বর্ধমান থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ ওই মহিলা কর্মীকে গ্রেফতার করে। পরে বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীও প্রতারণার অভিযোগ করেন। পুলিশ জানায়, জাল অ্যাডমিট কার্ড তৈরি করে জেলা জজের সই নকল করা হয়েছে। ছুটির দিনে আদালতের ঘর খুলিয়ে পরীক্ষার্থীদের ইন্টারভিউ পর্যন্ত নেওয়া হয়। ঝামেলা এড়াতে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চেক দেন চাকরিপ্রার্থীদের। সেই চেকও বাউন্স করে গিয়েছে।
এই পরিস্থতিতে গত বছর ৭ জুলাই সমস্ত নথি সংগ্রহ করার পরে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বৈশালীদেবীর সই সংগ্রহ করেন বর্ধমান থানার তদন্তকারী অফিসার প্রশান্তকুমার ভান্ডারি। সই মিলিয়ে দেখার জন্য সিআইডি-র কাছে পাঠানো হয়। বুধবার সেই রিপোর্টটি সিজেএম এজলাসে পেশ করে সিআইডি। পুলিশ জানিয়েছে, সিআইডির হস্তবিশারদরা জানিয়েছেন, অত্যন্ত সচেতনভাবে বিভিন্ন নথিতে হাতের লেখা পরিবর্তনের চেষ্টা করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে অক্ষর অন্যভাবে লেখারও চেষ্টা করা হয়েছে। তবে চেষ্টা সফল হয়নি। বাজেয়াপ্ত হওয়া নথি ও সংগৃহীত সইয়ের মধ্যে বড় হাতের ‘বি’ ও ‘এস’ এবং ছোট হাতের ‘এ’, ‘আই’ ও ‘ই’ অক্ষরে মিল রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।