প্রতীকী ছবি।
আদালতের নির্দেশে ক্ষতিপূরণের চেক দিয়েছিল দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা (এসবিএসটিসি)। দু’বার সেই চেক বাউন্স হওয়ায় অভিযোগে ফের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি। এসবিএসটিসি-র চেয়ারম্যান তমোনাশ ঘোষ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত ২৬ ডিসেম্বর ২০০৯। বাঁকুড়ার বড়জোড়ার প্রতাপপুরের বাসিন্দা, ডিএসপি-র ঠিকাকর্মী রঞ্জন শীটের মৃত্যু হয় এসবিএসটিসি-র বাসের ধাক্কায়। ২০১০ সালের ১১ মার্চ পরিবার দুর্গাপুরে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে ক্ষতিপূরণের মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৪ সালের ৩১ জুলাই আদালত এসবিএসটিসি-কে ৯ লক্ষ ১২ হাজার ৪১২ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তার মধ্যে মৃতের স্ত্রীকে ৩ লক্ষ ৭০ হাজার ৮০৪ টাকা এবং ছেলেমেয়েকে ২ লক্ষ ৭০ হাজার ৮০৪ টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক। অভিযোগ, তার পরেও গা করেননি এসবিএসটিসি কর্তৃপক্ষ।
২০১৫ সালের শুরুতে পরিবারের তরফে ফের মামলা করা হয়। পরিবারের দাবি, এর পরে দফায়-দফায় তাঁদের ডেকে বিষয়টি নিষ্পত্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়। তারা রাজি না হওয়ায় শেষে গত ২৭ মার্চ তিন জনের নামে চেক দেয় এসবিএসটিসি। মৃতের স্ত্রী ও ছেলে চেক ভাঙিয়ে টাকা পেয়ে যান। কিন্তু এসবিএসটিসি-র অ্যাকাউন্টে প্রয়োজনীয় অর্থ না থাকায় মেয়ে নমিতার চেক ৫ মে বাউন্স করে বলে অভিযোগ।
বিষয়টি আদালতের গোচরে আনা হলে বিচারক এসবিএসটিসি-র কাছে পরবর্তী পদক্ষেপ জানতে চায়। এসবিএসটিসি কর্তৃপক্ষ নতুন চেক দেওয়ার কথা জানান। ২০ জুন দ্বিতীয় বার চেক দেওয়া হয়। অভিযোগ সেটিও একই কারণে বাউন্স হয়। মৃতের পরিবারের আইনজীবী জ্ঞানেন্দ্র সিংহ বলেন, ‘‘সরকারি সংস্থার দেওয়া ক্ষতিপূরণের চেক পরপর দু’বার বাউন্স করেছে। বৃহস্পতিবার মৃতের পরিবারের তরফে আদালতের কাছে চেক বাউন্স সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ জমা দেওয়া হয়েছে।’’ এ দিন বিচারক না থাকা মামলা এগোয়নি।
এসবিএসটিসি-র চেয়ারম্যান তমোনাশবাবু বলেন, ‘‘এমন হওয়ার কথা নয়। কেন এমন হয়েছে, তা খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’’