নিমচার এজেন্ট অফিসে সিবিআই আধিকারিকরা। নিজস্ব চিত্র
কয়লা পাচার-কাণ্ডে বুধবার আসানসোল, দুর্গাপুর-সহ পাঁচটি স্থানে তল্লাশি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)-র। সঙ্গে রয়েছে কোল ইন্ডিয়ার ভিজিল্যান্সও। কয়লা খনির বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা।
বুধবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ সিবিআইয়ের চার সদস্যের একটি দল ইসিএলের সাতগ্রাম এরিয়ার নিমচা কোলিয়ারির এজেন্ট দফতরের দরজায় তালা লাগিয়ে দেন। ওই সময় জরিপ বিভাগের দুই সদস্য সেই দফতরে ঢুকতে গেলে তাঁদের নিষেধ করা হয়। তবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও দুর্গাপুরের কেন্দা এলাকার শঙ্করপুর খনি এবং পুরুলিয়ার কয়লাখনি-সহ মোট পাঁচটি জায়গায় তল্লাশি চালান সিবিআই আধিকারিকরা। তল্লাশি চলাকালীন তাঁরা সিআইএসএফ আধিকারিক, কয়লাখনির ম্যানেজার এবং এজেন্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
নিমচা খনির আওতায় থাকা রানিগঞ্জে দামোদর নদের তীরবর্তী ডামালিয়া কয়লাখনি সম্পর্কে নানা অভিযোগ পৌঁছেছে সিবিআই আধিকারিকদের কাছে। তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বুধবারই গরু এবং কয়লা পাচার-কাণ্ডে অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রের ভার্চুয়াল হাজিরার আর্জি খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। সিবিআই বিনয়ের ওই আর্জি মানতে নারাজ। তাতে সায় দিয়েছে আদালতও।