রাজু ঝা এবং আব্দুল লতিফ। ছবি: সংগৃহীত।
শক্তিগড়ে রাজু ঝা খুনের পর থেকেই বীরভূমের গরু কারবারি আব্দুল লতিফের নাম বার বার উঠে আসতে শুরু করেছে। গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের খাতায় পলাতক লতিফ এখন কোথায়, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে জল্পনা। কোনও কোনও সূত্রে খবর, লতিফ এখন কলকাতায়। আবার কোনও সূত্রের দাবি, বীরভূমেই কোথাও লুকিয়ে আছেন ব্যবসায়ী। এই সবের মধ্যে লতিফের নামে বিপুল সম্পত্তির হদিস মিলেছে।
সিবিআই একটি সূত্রের দাবি, লতিফের নামে মুরগির বড় একটি পোল্ট্রি ফার্ম ও গাড়ির একটি শোরুমের হদিস মিলেছে। তার কাগজপত্রও বাজেয়াপ্ত করা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পোল্ট্রি ফার্ম ও গাড়ির শোরুম রয়েছে বীরভূমের ইলামবাজারে। ঘটনাচক্রে, শনিবার রাতে যে গাড়ির ভিতরে কয়লা ব্যবসায়ী রাজুকে গুলি করে খুন করা হয়েছে, সেই গাড়িটি লতিফেরই বলে জানা গিয়েছে।
এ ছাড়াও সরকারি তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, ইলামবাজার থানার পায়ের মৌজা, শান্তিনিকেতন থানার বিনুরিয়া ও সুরুল মৌজায় লতিফের নামে প্রচুর জমি রয়েছে। সেই জমির পরিমাণ প্রায় ২৮০ কাঠা। সরকারি তথ্যই বলছে, লতিফের নামে এই সব জমি রেকর্ড রয়েছে ২০১৭ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে। এর আগে সিবিআই বোলপুর শহরের কাছে লতিফের ৪০টিরও বেশি সম্পত্তির হদিস পায়। সিবিআইয়ের দাবি, যার মধ্যে বোলপুর থেকে কিছুটা দূরে মহিদাপুরে বিশাল পরিমাণ জমির মালিকানা লতিফের পাশাপাশি গরু পাচার মামলার মূল অভিযুক্ত এনামুল হকেরও। সেই সমস্ত জমির আনুমানিক বাজারদর ৫০ কোটিরও বেশি বলে তদন্তকারীদের দাবি।
বিরোধীদের দাবি, গরু পাচার মামলায় ধৃত এনামুল এবং অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদেই এক সময় সুখবাজার পশুহাট সংলগ্ন এলাকায় টেলিফোন বুথে কাজ করা লতিফের রকেট গতিতে উত্থান হয়েছে। তাঁর প্রভাব ও সম্পত্তি বেড়েছে। তৃণমূলের অবশ্য বক্তব্য, বিষয়টি বিচারাধীন। তাই এই নিয়ে এখন কিছু বলার নেই।