—ফাইল চিত্র।
আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে আসানসোলে বিশেষ সিবিআই আদালতে কয়লাকাণ্ডের অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বুধবার ওই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
আগের শুনানিতে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিল সিবিআই। কয়লা মামলায় তদন্তের গতিপ্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত। এমনকি, সিবিআইয়ের আইনজীবীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, গত ১০ বছরে এমন একটি মামলা রয়েছে, যার তদন্ত শেষ করে ফেলেছে ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা?
আগেই কয়লাকাণ্ডের চার্জ গঠনের দিন ধার্য করে দিয়েছিলেন আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক চক্রবর্তী। সিবিআইয়ের চার্জশিটে নাম রয়েছে, এমন সবাইকেই বুধবার আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এর আগে ওই মামলায় দু’টি চার্জশিট জমা পড়েছে। তাতে মোট ৪৩ জনের নাম রয়েছে। চার্জশিটে ‘উল্লেখযোগ্য’ নামের মধ্যে রয়েছে বিনয় মিশ্র। কিন্তু এখনও তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন। আরও কয়েক জনকে এখনও সিবিআই গ্রেফতার করতে পারেনি। নতুন চার্জশিটে যাঁদের নাম রয়েছে, তাদের মধ্যে কয়লা কারবারি মহম্মদ শাকিল (গ্রেফতার হননি), তারকেশ্বর রায়ের (গ্রেফতার হননি) নাম ‘উল্লেখযোগ্য’। রয়েছে ধৃত অশ্বিনীকুমার যাদব, শ্রীমন্ত ঠাকুর এবং বিদ্যাসাগর দাসের নাম। এ ছাড়াও ইসিএলের জেনারেল ম্যানেজার অমিতকুমার ধর এবং নরেশকুমার সাহার নাম রয়েছে।
কয়লাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালা, জয়দেব মণ্ডল, নারায়ণ নন্দ-সহ বেশ কয়েক জন ‘কয়লা মাফিয়া’ সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য রয়েছেন সিবিআইয়ের তৈরি অভিযুক্তের তালিকায়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, কয়লাকাণ্ডে টাকাপয়সার লেনদেনে সক্রিয় ভূমিকা ছিল অভিযুক্তদের।