Coal Scam

ইসিএল কর্তা-সহ দু’জনের সিবিআই হেফাজত, কয়লা তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্নের মুখে সিবিআই

বৃহস্পতিবার ইসিএলের প্রাক্তন কর্তা এবং ঠিকাদারকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল নিজ়াম প্যালেসে সিবিআই দফতরে। জেরা করে সন্তুষ্ট হতে পারেনি সিবিআই। তার পরেই দু’জনকে গ্রেফতারির সিদ্ধান্ত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২৪ ১৪:২৩
Share:

(বাঁ দিক থেকে) ইসিএলের প্রাক্তন জিএম নরেশকুমার সাহা এবং ঠিকাদার অশ্বিনীকুমার যাদব। — নিজস্ব চিত্র।

কয়লাকাণ্ডে ইসিএলের এক কর্তা এবং এক ঠিকাদারকে গ্রেফতার করল সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের কলকাতায় সিবিআইয়ের কার্যালয় নিজ়াম প্যালেসে ডেকে পাঠানো হয়েছিল বৃহস্পতিবার। জেরায় সন্তুষ্ট না হতে পেরে সিবিআই গ্রেফতার করে ইসিএলের কাজোড়া এলাকার প্রাক্তন জিএম(আইইডি) নরেশকুমার সাহা এবং ঠিকাদার অশ্বিনীকুমার যাদবকে। আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত ধৃত দু’জনকে চার দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisement

আগামী ৩ জুলাই কয়লাকাণ্ডে চূড়ান্ত ‘চার্জ’ গঠন হবে। তার আগে এক ইসিএলের প্রাক্তন আধিকারিক এবং এক ঠিকাদারকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। বৃহস্পতিবার নরেশ এবং অশ্বিনীকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল নিজ়াম প্যালেসের সিবিআই দফতরে। সেখানে টানা জেরার মুখে পড়েন দু’জন। কিন্তু সূত্রের খবর, নরেশ এবং অশ্বিনীকে জেরা করে পাওয়া তথ্যে সন্তুষ্ট হতে পারেনি সিবিআই। তার পরেই তাঁদের গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। রাতে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। ভোরের আলো ফোটার আগেই ধৃত দু’জনকে নিয়ে আসানসোলের পথে রওনা দেন সিবিআইয়ের এসপি উমেশ কুমার।

কয়লাকাণ্ডে অভিযুক্ত লালার অবৈধ কারবারে সহযোগিতার অভিযোগ নরেশের বিরুদ্ধে। সিবিআই আদালতকে জানিয়েছে যে, লালার সিন্ডিকেট থেকে ২০ লক্ষ টাকা নিয়েছেন নরেশ। তার প্রমাণও পেয়েছে সিবিআই। যদিও সেই টাকা এখনও উদ্ধার করা যায়নি। অন্য দিকে, পেশায় ‘সিভিল কন্ট্রাক্টর’ অশ্বিনী অবৈধ কয়লা কারবারের সঙ্গে যুক্ত বলে সিবিআইয়ের দাবি। তিনি কয়লার অবৈধ সিন্ডিকেট চালাতেন এবং ইসিএল কর্তাদের টাকা সরবরাহ করতেন। এখনও পর্যন্ত যে দু’টি চার্জশিট জমা পড়েছে তাতে ৪৩ জনের নাম রয়েছে। তবে, সেই চার্জশিটে নাম নেই ধৃত দু’জনের।

Advertisement

তবে, আদালত শুক্রবার সিবিআই তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছে। চক্রের মাথাদের কবে জেরা করবে সিবিআই, এই প্রশ্নও তোলেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। উভয় পক্ষের সওয়াল শোনার পর বিচারক ধৃতদের চার দিনের সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। আগামী ২৪ জুন আবার তাঁদের আদালতে তোলা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement