TMC Party Office

কোচবিহারের মাথাভাঙায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে ঢুকে তাণ্ডব দুষ্কৃতীদের, প্রতিবাদে পথ অবরোধ

তৃণমূলের অভিযোগ, ওই এলাকায় রাত বাড়লেই রমরমিয়ে চলে নানা অসাধু কারবার। পার্টি অফিস রাত পর্যন্ত খোলা থাকলে দুষ্কৃতীদের কাজের অসুবিধা। তাই গভীর রাতে বন্ধ পার্টি অফিসে ভাঙচুরের ঘটনা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

মাথাভাঙা শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২৪ ১২:৫১
Share:

মাথাভাঙায় তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুরের পর অকুস্থলে পুলিশ। — নিজস্ব চিত্র।

তৃণমূলের কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা কোচবিহারের মাথাভাঙ্গায়। তৃণমূলের অভিযোগ, মাথাভাঙ্গা ১ ব্লকের হাজরাহাট ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কান্দুরামোড় এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে তৃণমূলের পার্টি অফিসে দুষ্কৃতী হামলা হয়। ভাঙচুর করা হয় পার্টি অফিস।

Advertisement

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকাল থেকে হাজরাহাট-মাথাভাঙ্গা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। একই সঙ্গে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে মিছিলও করেন তৃণমূল কর্মীরা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা হাসেম আলি বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার রাত সওয়া দশটা নাগাদ পার্টি অফিস বন্ধ করে সবাই বাড়ি চলে যাই। কিন্তু শুক্রবার ভোরে পথচলতি মানুষের নজরে আসে পার্টি অফিস ভাঙ্গা। অফিসের ভিতরেও ভাঙচুরের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর ফ্লেক্সও ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।’’

তৃণমূলের অভিযোগ, এই এলাকায় আফিম, গাঁজার চোরাই ব্যবসা হয়। গরু পাচারও চলে এই পথ ধরেই। তৃণমূলের পার্টি অফিস বেশি রাত পর্যন্ত খোলা থাকলে এবং সেখানে লোকজন থাকলে অসামাজিক কাজে অসুবিধা হয়। তাই রাতের অন্ধকারে পার্টি অফিস ভাঙচুর করে বার্তা দিল সমাজবিরোধীরা। এ প্রসঙ্গে হাসেম বলেন, ‘‘পার্টি অফিস এখানেই থাকবে। আমরা আবার তা সারিয়ে নেবো। পুলিশে লিখিত অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি, রাজনৈতিক ভাবেও এই লড়াই লড়ব। দেখি, সমাজবিরোধীদের কত ক্ষমতা আমাদের আটকায়।’’

Advertisement

মাথাভাঙা থানার পুলিশ অকুস্থলে পৌঁছেছে। গুরুত্ব দিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্র থেকে জানা গিয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কোনও পুলিশ কর্তাই প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে ঘণ্টাখানেক অবরোধ চলার পর পুলিশের কড়া ব্যবস্থার আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা।

প্রসঙ্গত, সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটে কোচবিহার আসনটি বিজেপির কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। তার পরেই কোচবিহার জেলার একাধিক পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। স্বভাবতই, সেই পঞ্চায়েতগুলি তৃণমূলের দখলে এসেছে। তার মধ্যেই মাথাভাঙার মতো তৃণমূলের ‘শক্ত ঘাঁটি’তে পার্টি অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement