প্রতীকী ছবি।
কলেজের অধ্যাপিকার শ্লীলতাহানি এবং তাঁকে মারধর, হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁর গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে। বর্ধমান শহরের পীরপুকুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। শুক্রবার রাতে অভিযুক্ত গাড়ির চালককে গ্রেফতার করেছে বর্ধমান মহিলা থানার পুলিশ। যদিও আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন অভিযুক্ত।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম সুরজিৎ দাস। তাঁর বাড়ি বর্ধমান শহরের আনন্দপল্লির কালীতলায়। পীরপুকুরের বাসিন্দা ওই অধ্যাপিকার ব্যক্তিগত গাড়ি চালান তিনি। ওই অধ্যাপিকা বাঁকুড়ার একটি কলেজে অধ্যাপনা করেন। থানায় দায়ের করা অভিযোগে তিনি জানান, মায়ের অন্তিম ক্রিয়ায় সুরজিৎ তাঁকে নানা ভাবে সাহায্য করেছিলেন। তার পর থেকেই দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক আরও ‘ঘনিষ্ঠ’ হয়। মাঝে মধ্যেই রাতে তাঁর বাড়িতে থাকতেন সুরজিৎ। কিন্তু গত বছর দুর্গাপুজো থেকেই সম্পর্কে টানাপড়েন শুরু হয় বলে জানান ওই অধ্যাপিকা।
তাঁর অভিযোগ, মদ খেয়ে গভীর রাতে বাড়ির দরজা লাথি মারতেন সুরজিৎ। নিজেকে একটি রাজনৈতিক দলের কর্মী পরিচয় দিয়ে গালিগালাজ, মারধর এমনকি হুমকিও দিতেন তিনি। পুলিশ জানায়, অধ্যাপিকা জানিয়েছেন, দিনের পর দিন এই ঘটনা চলতে থাকায় গত ৯ মার্চ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। সুরজিৎ ভুল স্বীকার করে নেওয়ায় তিনি পরে সেই অভিযোগ ফিরিয়েও নিয়েছিলেন। তার পর থেকে আবার আগের মতো খুনের হুমকি দেওয়া শুরু করেন সুরজিৎ। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার অধ্যাপিকাকে ঘরে আটকেও রেখেছিলেন তিনি। ওই ঘটনারই উল্লেখ করে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন অধ্যাপিকা। সেই পোস্ট দেখেই তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এর পরেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অধ্যাপিকা। তার ভিত্তিতেই শুক্রবার সুরজিৎকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য মামলা রুজু করা হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, অধ্যাপিকাকে হুমকি বা ভয় দেখানো যাবে না, এই শর্তেই জামিন দিয়েছেন বিচারক।