অর্জুন সিংহর টুইট ঘিরে ফের দলবদলের জল্পনা। ফাইল চিত্র।
ফের টুইট ঘিরে দলবদলের জল্পনা অর্জুন সিংহর। শনিবার দুপুরে হিন্দিতে একটি টুইট করেন ব্যারাকপুরের সাংসদ। তিনি লেখেন, ‘শুনছি আজ সাগর নিজেকে নিয়ে গর্বিত। যেখানে ঝড় এসেছে সেখানে নৌকা নিয়ে যাওয়া হোক।’ এর পরেই নেটমাধ্যমে রটে যায় রবিবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেবেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ। শুধু তিনিই নয়, অর্জুনের সঙ্গে তাঁর বিধায়ক পুত্রও যোগ দিতে চলেছেন শাসকদলে। ২০২১ সালের ব্যারাকপুর লোকসভার সাতটি আসনে মধ্যে ছয়টিতে বিজেপি পরাজিত হলেও, ভাটপাড়ায় দ্বিতীয়বার বিধায়ক হিসাবে জয় পান পবন সিংহ।
তবে রবিবার তৃণমূলে যোগদানের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন অর্জুন স্বয়ং। তিনি বলেন, ‘‘আমি জানতে পেরেছি, তৃণমূলের কিছু নেতা কর্মী সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাকে নিয়ে পোস্টার ও ছবি বানিয়ে তৃণমূলে যোগদানের কথা প্রচার করে বেড়াচ্ছেন। এটা একেবারেই সত্যি নয়। আমি তৃণমূলে যোগ দিচ্ছি না।’’ প্রসঙ্গত, বেশ কিছু দিন ধরে বিজেপিতে বেসুরো অর্জুন সিংহ। এমনকি, পাটজাত পণ্যের ঊর্ধ্বমূল্য নিয়ে মোদী সরকারের বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দেখা গিয়েছিল রাজ্য বিজেপির অন্যতম সহ-সভাপতিকে।
অর্জুনের ক্ষোভ দমন করতে রীতিমতো কালঘাম ছুটেছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের। শেষ পর্যন্ত ঊর্ধ্বসীমা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে মোদী সরকার। একই সঙ্গে আসরে নেমেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নড্ডা। দিল্লিতে গত সোমবার অর্জুনের সঙ্গে নিজের বাসভবনে বৈঠক করেন তিনি। তার আগেই দলের সংগঠন নিয়ে কার্যত অনাস্থা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এ বার দেখা যাচ্ছে, দাবি মেনে দামের ঊর্ধ্বসীমা প্রত্যাহার, নড্ডার সঙ্গে বৈঠকের পরেও অর্জুনের ক্ষোভ কমার কোনও লক্ষণ নেই। ব্যারাকপুরের সাংসদ শুক্রবার ফের বলেছেন, ‘‘এই বাংলায় বিজেপি দলে যাঁরা কাজ করতে পারেন, তাঁদের কোনও পদ নেই। বিভিন্ন জেলায় সংগঠনের এই অবস্থার জন্য প্রতিদিন পদাধিকারীরা পদত্যাগ করছেন। এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামী দিনে দলের মধ্যে বিস্ফোরণ হবে।’’ সংগঠনের বিষয়টি নড্ডাকে জানিয়েছেন অর্জুন। তার মধ্যেই শনিবারের টুইট নিয়ে তাঁর দলবদলের জল্পনা তৈরি হয়।