এখানেই হামলা। নিজস্ব চিত্র
রাতে বাড়ি ফেরার সময়ে গয়না ব্যবসায়ীকে গুলি করে তাঁর ব্যাগ ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠল পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরে। পুলিশ জানায়, মনোজ বর্মা নামে ওই ব্যবসায়ীকে দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর কাঁধে গুলি লেগেছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পাণ্ডবেশ্বরের ডিভিসি মাঝিপাড়ায় বাড়ি মনোজবাবুর। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পাণ্ডবেশ্বরের খোট্টাডিহি লোটনচণ্ডী মন্দির লাগোয়া এলাকায় একটি গয়নার দোকান রয়েছে তাঁর। বুধবার রাত ৮টা নাগাদ সেখান থেকে মোটরবাইকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। অভিযোগ, দোকান থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে পরিত্যক্ত এরোড্রোমের কাছে দুই দুষ্কৃতী তাঁর রাস্তা আটকায়। তারা তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যাগ এবং মোটরবাইকটি ছিনিয়ে নিতে চাইলে তিনি বাধা দেন। তখনই দুষ্কৃতীরা গুলি ছোড়ে। মনোজবাবু তখন চিৎকার করলে আশপাশ থেকে লোকজন ছুটে আসেন। তখন মোটরবাইক ছেড়ে ব্যাগটি নিয়ে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
আহত ব্যবসায়ীর ভাই সর্বন বর্মা জানান, স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে খবর পেয়ে তিনি ও মনোজবাবুর ছেলে আমন ঘটনাস্থলে পৌঁছন। মনোজবাবুকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সর্বনবাবু অভিযোগ করেন, বছর চারেক আগে গয়নার দোকানটি চালু করেন তাঁর দাদা। তার মাসখানেক পরেই দোকানে সিঁদ কেটে দুষ্কৃতীরা বেশ কিছু জিনিসপত্র নিয়ে পালায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুর্গাপুজোর আগে ওই একই এলাকায় একটি মোটরবাইক ছিনতাইয়ের অভিযোগ ওঠে। বছর তিনেক আগে রাস্তার দু’দিকে দড়ি বেঁধে বেশ কিছু পথচারীদের আটকে ছিনতাই করা হয়। সপ্তাহখানেক আগে ওই এলাকা থেকে কিছুটা দূরে রামনগর মোড়ের কাছে কেন্দ্রার এক ব্যক্তির মোটরবাইক ছিনতাই হয়েছে। কালীপুজোর আগে পাণ্ডবেশ্বরের এরিয়া মোড়ের কাছে পরপর তিনটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে বলেও অভিযোগ।
এলাকাবাসীর দাবি, পরপর এমন ঘটনায় তাঁরা আতঙ্কিত। পুলিশি টহল বাড়াতে হবে। কোনও দুষ্কৃতী ধরা না পড়ায় অপরাধের ঘটনা বাড়ছে বলেও দাবি তাঁদের। পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানান, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। দুষ্কৃতীরা গ্রেফতার হবে বলে তিনি আশাবাদী।
পুলিশ জানায়, ব্যবসায়ীর ব্যাগ ছিনতাইয়ের পরে, খুন করার চেষ্টার মামলা রুজু হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে। ব্যবসায়ীর অবস্থা স্থিতিশীল। কী-কী জিনিস খোয়া গিয়েছে, তা তাঁর সঙ্গে কথা বলার পরেই জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।