বিচারপ্রার্থীরা অসুবিধেয় পড়লেও বয়কট তোলার ব্যাপারে অনড় থেকে গেল বর্ধমান জেলা বার অ্যাসোসিয়েশন।
প্রায় দু’মাস ধরে জেলা আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (পঞ্চম) বিনোদকুমার মাহাতোকে বয়কট করছেন আইনজীবীরা। কয়েক দিন আগে জেলা জজের হস্তক্ষেপে মন্দাক্রান্তা সাহার এজলাসের বয়কট তুলে নেন আইনজীবীরা। সে জন্য বিচারপ্রার্থীরা ভেবেছিলেন, বিনোদ মাহাতোর এজলাসও আর বয়কট করবেন না আইনজীবীরা। সোমবার সে জন্য জেলা বার অ্যাসোসিয়েশন একটি বৈঠক ডাকে। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে আইনজীবীদের মধ্যে বাদানুবাদ হয়। বেশ কিছু আইনজীবী বৈঠকে জানান, বিচারপ্রার্থীদের সমস্যায় ফেলে বিচারককে বয়কট করা অনুচিত কাজ হচ্ছে। কিন্তু আইনজীবীদের ‘সম্মান রক্ষার’ জন্য বয়কট চালিয়ে যাওয়া উচিত বলে মনে করেন বার অ্যাসোসিয়েশনের পদাধিকারীরা।
বার সূত্রে জানা যায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি এক আইনজীবীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেন ধৃতের সতীর্থরা। সে দিন সিজেএমের দায়িত্বে থাকা বিনোদ মাহাতো সেই জামিন খারিজ করে দেন। এরপরেই আইনজীবীরা সন্ধ্যা পর্যন্ত সিজেএম এজলাসে বিক্ষোভ দেখান। আইনজীবীদের আচরণে ক্ষুব্ধ হন বিচারক। তিনি সে কথা রায়ে উল্লেখও করেন। বর্ধমানের কয়েক জন আইনজীবী বলেন, “আমরা বিচারকের মন্তব্যে খুশি না হতেই পারি। তার জন্য উচ্চ আদালতে ওই মন্তব্য বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন করা যেত। আইনের রাস্তায় না হেঁটে গা-জোয়ারি করে বিচারককে বয়কট করে বিচারপ্রার্থীদের হয়রান করা মানা যায় না।” বার অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা জানান, সামনেই নির্বাচন। সে জন্যই সংখ্যাগরিষ্ঠদের মতকে সম্মান জানানো হয়েছে। তবে অনেক আইনজীবী জানিয়েছেন, বার অ্যাসোসিয়েশনের দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ের জন্যে বারবার বিচারকদের বয়কটের মুখে পড়তে হচ্ছে।