মালপত্রের স্ক্যানারে আটকে বালক। —নিজস্ব চিত্র।
বিকেল প্রায় সাড়ে ৪টে। বর্ধমান রেলস্টেশনের মালপত্র পরীক্ষা করার স্ক্যানারের সামনে তখন চিলচিৎকার শুরু হয়েছে। যাত্রীদের মালপত্র পরীক্ষার করার স্ক্যানারে আটকে বছর আটের এক বালক। তার একটি হাতের পুরোটা ঢুকে রয়েছে স্ক্যানারে। শরীরের অর্ধেকও আটকে স্ক্যানের উপরের অংশে। শিশুটির চিৎকারে ওই জায়গায় যাত্রীরা জড়ো হয়ে যান। তাকে উদ্ধার করতে প্রায় আধ ঘণ্টা সময় গেল আরপিএফ কর্মীদের। শনিবার বিকেলে এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় বর্ধমান স্টেশন চত্বরে।
বর্ধমান স্টেশনের আরপিএফের সেকেন্ড ইনস্পেক্টর মনোজ কুমার বলেন,‘‘শনিবার বিকেল ৪টে ৩৫ মিনিট থেকে ৫টা ৫ মিনিট অর্থাৎ, প্রায় আধ ঘণ্টা বাচ্চাটি ‘লাগেজ স্ক্যানার’-এ আটকে ছিল। স্ক্যানারের মধ্যে কোনও কিছু হয়তো কুড়োতে গিয়েছিল সে। তাতে ওই বালকের ডান হাত আটকে পড়ে। তার পর তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চলে।’’ তিনি জানান, প্রায় আধ ঘণ্টা ওই বালক ‘লাগেজ স্ক্যানারে’ আটকে ছিল। পরে কর্তব্যরত আরপিএফ কর্মীরা তাকে উদ্ধার করেছে। রেল সূত্রে খবর, ওই বালকের নাম জিৎ মুর্মু। মহেশপুরের উড়াডাঙার বাসিন্দা। ছেলেটি সুস্থ আছে বলেই জানিয়েছেন রেলের আধিকারিকরা।
কিন্তু কর্তব্যরত আরপিএফ কর্মীদের চোখ এড়িয়ে কী ভাবে তাঁদের চোখের সামনে একটি বাচ্চা এ ভাবে স্ক্যানারে ঢুকে গেল এবং তা তাঁরা খেয়ালই করলেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যাত্রদের একাংশ স্টেশনের কর্তব্যরত আরপিএফ কর্মীদের দায়িত্বজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের অভিযোগ, এই ঘটনা ওঁদের উদাসীনতার প্রমাণ।