প্রতীকী ছবি।
পরের বছর ভোট হবে ধরে নিয়ে এগোচ্ছে সব দল। জনসংযোগের অন্যতম সুযোগ দুর্গাপুজো। এ বার অতিমারি পরিস্থিতিতে রাস্তায় লোক তুলনামূলক কম হলেও সুযোগ ছাড়েনি বিরোধীরা। তৃণমূলেরও দাবি, স্থানীয় ভাবে নেতারা স্টল দিয়েছিলেন। বিক্রি ভালই হয়েছে।
সিপিএম ২০১১ সালে ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পরে, তাদের পুজোর স্টলের সংখ্যা কমতে থাকে। দলের হিসেবে, এ বছর জেলার ২৪টি জায়গায় স্টল বসেছিল। সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, বই বিক্রির চেয়েও জনসংযোগ মূল উদ্দেশ্য। তবে দু’-একটি জায়গা ছাড়া, ভিড় সে রকম হয়নি বলেই জানাচ্ছেন সিপিএমের জেলা কমিটির সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিক। সিপিএমের দাবি, রাস্তায় বার হতে না পারলেও পরিচিতজনের মাধ্যমে অনেকেই বই কেনার আবদার করেছেন। তাঁদের বাড়িতে বই পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে জানানো হয়েছে।
গত বছর থেকে জেলায় বই-বিপণী শুরু করেছে বিজেপি। গত বছর সাংগঠনিক ভাবে বই-বিপণিতে জোর দেওয়া হয়েছিল। এ বার সেটাই বাড়ানো হয়েছে, দাবি নেতাদের। বিজেপির দাবি, বর্ধমান সদর ও কাটোয়া দু’টি সাংগঠনিক জেলা মিলিয়ে ৬৩টি বইয়ের স্টল খোলা হয়েছে। বিজেপি নেতা সন্দীপ নন্দীর দাবি, ‘‘আমাদের স্টলগুলিতে ভাল বিক্রি হয়েছে। বিজেপির ইতিহাস, বাংলায় বিজেপির প্রয়োজনীয়তা জানতে বর্ধমান শহর থেকে গ্রামীণ এলাকাতেও ভাল বই বিক্রি হয়েছে।’’
জেলায় মোট কতগুলি স্টল দেওয়া হয়েছে, কেন্দ্রীয় ভাবে তার হিসেব নেই তৃণমূল নেতাদের কাছে। তবে গত কয়েকবছর ধরে বর্ধমান শহরের বীরহাটার কাছে তৃণমূলের বইয়ের স্টলটি পুজোর ক’দিন খোলা ছিল। দলের জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের দাবি, ‘‘করোনা-কালে যে, যেমন ভাবে পেরেছেন ‘জাগো বাংলা’, ‘মা-মাটি-মানুষের’ স্টল খুলে বসেছিলেন। লোকজন কম এলেও বিক্রি ভাল হয়েছে বলে খবর পাচ্ছি। ধাত্রীগ্রামে আমি নিজে ছিলাম। সেখানে মমতাদির (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) লেখা বই সব বিক্রি হয়ে গিয়েছে।’’ তাঁর দাবি, যাঁরা চেয়ে বই পাননি, তাঁদের কাছে তা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে।