Murder

ক্যানালপাড়ে যুবকের দেহ উদ্ধার, মন্তেশ্বরে ধৃত দুই

নেশার ঘোরে তিন জনের মধ্যে অশান্তির জেরেই এই ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২১ ০৫:৫৬
Share:

তোলা হচ্ছে দেহ। নিজস্ব চিত্র।

দু’দিন আগেই খুনের অভিযোগ উঠেছিল। বুধবার মন্তেশ্বরের বনপুর গ্রামের ক্যানাল পাড় থেকে দেহ মিলল ফিলিমেন হাঁসদা (৩৪) নামে এক যুবকের। এক মহিলা-সহ দু’জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, ধৃত সাইমন হাঁসদা ওরফে শ্যামল ও আরতি মুর্মু বাইরে থেকে বোরো ধান কাটার কাজে ওই গ্রামে এসেছিলেন। ফিলিমেনও তাঁদের সঙ্গেই কাজ করতেন। নেশার ঘোরে তিন জনের মধ্যে অশান্তির জেরেই এই ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান।

Advertisement

শুক্রবার নিহতের বাবা, শিয়ালমারা গ্রামের বাসিন্দা লবা হাঁসদা মন্তেশ্বর থানায় ছেলেকে খুন করে দেহ লোপাটের অভিযোগ করেন। পুলিশের দাবি, তদন্তে নেমে মহিলাকে আগে গ্রেফতার করা হয়। পরে, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কাটোয়ার নন্দীগ্রাম থেকে ধরা হয় শ্যামলকে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধান কাটার কাজে বনপুর গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য লতিফ শেখের বাড়িতে এসেছিলেন ওই তিন জনেই। কাজ শেষ হওয়ার পরেও মাঠের ধারে একটি খামার বাড়িতে থাকছিলেন তাঁরা। লবা হাঁসদার দাবি, সপ্তাহখানেক আগে মন্তেশ্বরের পিয়াগ্রামে ফিলিমেনের সঙ্গে শ্যামলের দেখা হয়। ফিলিমেনকে বনপুর গ্রামে নিয়ে যায় শ্যামল। এলাকার লোকজন দিন তিনেক তাঁদের এ কসঙ্গে ঘুরতে দেখেন। তা রপর থেকে ছেলের খোঁজ মিলছিল না। শ্যামল ও আরতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও সদুত্তর মেলেনি দাবি তাঁর। ধৃত দু’জন স্বামী-স্ত্রী বলেও এলাকার কয়েকজনের দাবি।

Advertisement

লতিফ শেখ জানান, এ বছরই প্রথম তাঁর কাছে কাজে আসেন ওই তিন জন। কড়াকড়ির মধ্যে গণপরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় বাড়ি ফিরতে অসুবিধার কথা ভেবে খামারবাড়িতে তাঁদের থাকতে দেন তিনি। ‘‘কিন্তু কেউ খুন হয়ে যাবে ভাবতে পারিনি!’’, দাবি তাঁর।

বুধবার দুপুরে কাটোয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধ্রুব দাস, এসডিপিও (কালনা) সপ্তর্ষি ভট্টাচার্য, বিডিও (মন্তেশ্বর) গোবিন্দ দাসের উপস্থিতিতে ওই গ্রামের ক্যানাল পাড়ের মাটি খুঁড়ে ফিলিমেনের দেহ উদ্ধার করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘প্রাথমিক জেরায় ধৃতেরা পুলিশের কাছে দোষ স্বীকার করেছে। দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। কেন এই ঘটনা জানতে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’’ আজ, বৃহস্পতিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement