BJP

বিজেপি কর্মীকে মার, স্ত্রীকে ‘ধর্ষণের চেষ্টা’, দলের নেতার বিরুদ্ধেই অভিযোগ শক্তিগড়ে

দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রীকে ‘ধর্ষণের চেষ্টা’র অভিযোগ তুললেন বিজেপির এক কর্মী। তাঁকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। শক্তিগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বিজেপি কর্মী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:০০
Share:

দলের নেতাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন বিজেপির এক কর্মী। প্রতীকী ছবি।

দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে থানায় গেলেন বিজেপির এক কর্মী! পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ের ওই বিজেপি কর্মীর অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার পাশাপাশি মারধর করা হয়েছে। একই সঙ্গে মারধর করা হয়েছে তাঁর শ্বশুরকেও। বিষয়টি নিয়ে তিনি থানায় অভিযোগ করেছেন দলেরই নেতার বিরুদ্ধে। যদিও দলীয় ওই কর্মীর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি নেতারা। তৃণমূল বিষয়টি নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েনি। ‘এটা বিজেপির সংস্কৃতি’ বলে কটাক্ষ করেছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

Advertisement

গত রবিবার বাড়িতে ঢুকে তাঁর শ্বশুর ও স্ত্রীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেন বিজেপি কর্মী কেশব কোনার। বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সভাপতি পিন্টু ওরফে পূরব সাম এবং জেলা যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক দেবজ্যোতি সিংহরায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি। কেশবের অভিযোগ, রবিবার রাত ৮টা নাগাদ পূরব, দেবজ্যোতি-সহ ৫ জন বাড়িতে ঢুকে রড, লাঠি দিয়ে তাঁকে মারধর করেন। সেই সময় কেশবকে বাঁচাতে গেলে আক্রান্ত হন তাঁর স্ত্রী, শ্বশুর। অভিযুক্তদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলে অভিযোগ করে কেশব বলেন, পরে বাড়িতে অন্য এক জন চলে আসায় অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। সোমবার শক্তিগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন কেশব।

কেশবের দাবি, তিনি অসুস্থ। তাই দলের কোনও কর্মসূচিতে সশরীরে যোগ দিতে পারেন না। তবে সমাজমাধ্যমে নানা সময় তিনি সরব হন। বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিবাদও জানান। যদিও তাঁর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি নেতা দেবজ্যোতি। তাঁর দাবি, ‘‘ফেসবুকে কেশবের ৩টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এ ছাড়া তাঁর আরও ৩টি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট রয়েছে ফেসবুকে। সেখানে দলের বিভিন্ন পদাধিকারীদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর পোস্ট করেন কেশব। এমনকি, বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়ার বিরুদ্ধে পোস্ট করেছেন তিনি। এ নিয়ে কেশবকে একাধিক বার সতর্ক করেও কোনও লাভ হয়নি।’’ এ নিয়েই কেশবের সঙ্গে কথা বলতে রবিবার তাঁর বাড়িতে তাঁরা গিয়েছিলেন বলে দাবি দেবজ্যোতির। চিকিৎসার জন্য তাঁদের কাছ থেকে কেশব ২০ হাজার টাকা চান বলেও দাবি করেন তিনি। দেবজ্যোতির অভিযোগ, ‘‘ওই টাকা দিতে অস্বীকার করায়, তিনি (কেশব) বাঁচাও, বাঁচাও বলে চিৎকার শুরু করেন। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।’’

Advertisement

এই অভিযোগ নিয়ে মুখ খোলেননি অভিযুক্ত পূরব। তবে জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, ‘‘বিজেপি গোটা বিশ্বের মধ্যে সব থেকে বড় রাজনৈতিক দল। কেউ অন্যায় করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলও তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। অন্যায় করলে দল তাঁর পাশে থাকবে না।’’

এই ঘটনায় বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস। তিনি বলেন,‘‘এটাই বিজেপির সংস্কৃতি। ওরা আবার বাংলার মানুষকে নাকি সুরক্ষা দেবে! যাঁরা এই ধরনের কাজ করেন, তাঁরা সমাজবিরোধী। অবিলম্বে তাঁদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।’’

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement