West Bengal SSC Scam

‘ইয়ার্কি হচ্ছে’ পড়ুয়াদের নিয়ে! এসএসসিকে ভুল শোধরানোর জন্য সাত দিন সময় দিলেন বিচারপতি

মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু সময় বেঁধে দিয়েছেন স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘দুর্নীতি যেখানে পরিষ্কার, সেখানে কেন কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না?’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:০৭
Share:

গাজিয়াবাদ থেকে পাওয়া উত্তরপত্র এসএসসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বসু। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।

টাকার বিনিময়ে শিক্ষকের চাকরি বিলিয়ে আসলে ছাত্রদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছেলেখেলা করা হয়েছে— মত কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। মঙ্গলবার নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল তাঁর এজলাসে। সেখানেই বিচারপতি বলেন, ‘‘ইয়ার্কি হচ্ছে না কি! পড়ুয়াদের কথা না ভেবে কে টাকা দিয়ে চাকরি দিল, তা জানার সময় এসেছে।’’ এ ব্যাপারে ভুল শোধরানোর জন্য এসএসসিকে ৭ দিন সময় দিয়ে বিচারপতি বসু বলেছেন, ‘‘গাজিয়াবাদ থেকে পরীক্ষার্থীদের যে উত্তরপত্র উদ্ধার করা হয়েছে, তা ৩১ জানুয়ারির মধ্যে এসএসসিকে নিজেদের ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে।’’

Advertisement

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অন্তত ৪৪৮৭টি উত্তরপত্র বা ওএমআর শিটের সন্ধান গাজিয়াবাদে পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সেই উত্তরপত্রই এসএসসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বসু। একই সঙ্গে এ ব্যাপারে তদন্তকারী সিবিআইয়ের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, ‘‘কারা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন তা জানতেই হবে। বিতর্কিত শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের সোজা গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করুক সিবিআই।’’

এসএসসি পরীক্ষার্থীর হারিয়ে যাওয়া উত্তরপত্র প্রকাশ করার নির্দেশ অবশ্য এই প্রথম দিল না কলকাতা হাই কোর্ট। এর আগে হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও এসএসসিকে এ ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে মঙ্গলবার বিচারপতি বসু সময় বেঁধে দিয়েছেন স্কুল শিক্ষা পরিষদকে। কমিশনের উদ্দেশে বিচারপতি বসুর মন্তব্য, ‘‘দুর্নীতি যেখানে পরিষ্কার, সেখানে কেন এই ব্যক্তিদের এখনও সরিয়ে দিতে পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। কিসের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে?’’

Advertisement

ইতিমধ্যেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের বহু পরীক্ষার্থীর চাকরি গিয়েছে অবৈধ নিয়োগের অভিযোগে। মঙ্গলবার বিচারপতি বসু বলেছেন, ‘‘কর্মীর অভাবে স্কুল বন্ধ হয়ে যাবে, এই আশঙ্কা থেকেই কি এই অযোগ্যদের চাকরি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে না। তেমন হলে নতুন নিয়োগ করা হোক।’’ এ প্রসঙ্গে এসএসসির কাছে নতুন নিয়োগ নিয়ে প্রস্তুতির কথাও জানতে চেয়েছেন বিচারপতি। এসএসসিকে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘যাঁরা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের সরিয়ে দ্রুত নিয়োগের জন্য কতটা প্রস্তুত আপনারা?’’ আদালত জানিয়েছে, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সে ক্ষেত্রে সে দিনই বিচারপতির প্রশ্নের জবাব দিতে পারে এসএসসি। যদিও তার আগে আদালতের নির্দেশ মেনে পরীক্ষার্থীদের আসল ওএমআর শিট প্রকাশ করার কথা এসএসসির।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement