Barabani

কার্যালয় গুঁড়িয়ে দেওয়ার নালিশ, বিতর্ক জমি নিয়ে

বিজেপি-র বারাবনি ২ নম্বর মণ্ডল সভাপতি রবিন সূত্রধরের সংবাদমাধ্যমের একাংশের কাছে অভিযোগ, রাত সাড়ে ৮টায় প্রায় শতাধিক লোকজন যন্ত্র চালিয়ে পানুড়িয়া হাটতলা এলাকার কার্যালয়টি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বারাবনি শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২১ ০৩:৪২
Share:

পানুড়িয়া-হাটতলায়। নিজস্ব চিত্র।

দলের কার্যালয় ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার বারাবনির ওই ঘটনায় বিজেপি এমনই অভিযোগ করেছে। যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় যান পুলিশকর্মীরা। পাশাপাশি, যে জমিতে কার্যালয়টি ছিল, সে জমির মালিকানা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

Advertisement

বিজেপি-র বারাবনি ২ নম্বর মণ্ডল সভাপতি রবিন সূত্রধরের সংবাদমাধ্যমের একাংশের কাছে অভিযোগ, রাত সাড়ে ৮টায় প্রায় শতাধিক লোকজন যন্ত্র চালিয়ে পানুড়িয়া হাটতলা এলাকার কার্যালয়টি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘যাঁরা এই কাজ করেছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই তৃণমূলের সদস্য, সমর্থক।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের অভিযোগ, ‘‘২০১৯-এর ১৮ নভেম্বর এই কার্যালয়ে ভাঙচুর ও দলীয় কর্মীদের মারধর করেছিল তৃণমূল।’’

যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্য অসিত সিংহ। পাশাপাশি, যে জমিতে কার্যালয়টি ছিল, সে জমির মালিকানা নিয়েও বিতর্ক উস্কে দিয়েছে তৃণমূল। অসিতবাবুর দাবি, ‘‘আমরা খবর পেয়েছি, ওই কার্যালয়টি সরকারি জমি দখল করে গড়ে তোলা হয়েছিল। এলাকাবাসী এ নিয়ে পানুড়িয়া পঞ্চায়েতে অভিযোগও করেছেন। তবে কোনও দলের কার্যালয় ভাঙার সঙ্গে আমাদের কেউ জড়িত নন।’’

Advertisement

তৃণমূল পরিচালিত পানুড়িয়া পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান বিশ্বজিৎ সিংহের দাবি, ‘‘আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি, কার্যালয়টি সরকারি জমিতে গড়ে উঠেছিল। এ বিষয়ে পদক্ষেপের জন্য বিডিও (বারাবনি) এবং ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে লিখিত আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।’’ তবে তৃণমূল নেতৃত্বের এই দাবি অস্বীকার করেছেন স্থানীয় বিজেপি কর্মী তারাপদ ধীবর। তাঁর দাবি, ‘‘বিজেপির কার্যালয়টি আমাদের পারিবারিক জমিতে তৈরি হয়েছিল। আমাদের কাছে জমির মালিকানার কাগজও আছে।’’ কিন্তু রাত পর্যন্ত কেন অভিযোগ দায়ের করেনি বিজেপি? তারাপদবাবুর দাবি, তিনি লিখিত অভিযোগ করবেন।

জমির মালিকানার বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক (বারাবনি) উদয়শঙ্কর ভট্টাচার্য। বিডিও সুরজিৎ ঘোষ বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখার কথা জানান। এ দিকে, পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালেও এলাকায় টহল দেওয়া হচ্ছে। নজর রাখা হচ্ছে পরিস্থিতির উপরে। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (পশ্চিম) বিশ্বজিৎ মাহাতো বলেন, ‘‘সরকারি জমিতে ঘর তৈরি করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে আমরা দেখেছি। তবে, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘর ভাঙার বিষয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement