BJP

‘যোগদান মেলা’র প্রস্তুতি বিজেপির

বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ পৌঁছে দলের জেলা সভাপতি (কাটোয়া) কৃষ্ণ ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে মুস্থুলিতে সভাস্থল পরিদর্শন করেন মেনন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২১ ০৩:০২
Share:

কাটোয়ায় বৈঠক। নিজস্ব চিত্র

আগামী ৯ জানুয়ারি, শনিবার কাটোয়া ২ ব্লকের মুস্থুলিতে বড়সড় জমায়েত করে ‘যোগদান মেলা’ করতে চলেছে বিজেপি। শুরু হয়ে গিয়েছে তার প্রস্তুতিও। সোমবার তোড়জোড় দেখতে কাটোয়ায় যান বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক তথা রাজ্যের অন্যতম পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন। সভাস্থল ঘুরে দেখার পাশাপাশি, দলের নানা স্তরের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। তাঁর দাবি, ওই দিন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা আসবেন। কাটোয়ার বহু নেতাও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে দাবি করেন তিনি।

Advertisement

বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ পৌঁছে দলের জেলা সভাপতি (কাটোয়া) কৃষ্ণ ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে মুস্থুলিতে সভাস্থল পরিদর্শন করেন মেনন। প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার পরে, কাছারি রোডে দলীয় কার্যালয়ে যান। ছিলেন বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু, সৈকত পাঁজা, বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। দলের ৩৩ জন মণ্ডল সভাপতি, সাতটি বিধানসভার আহ্বায়ক, সাত মোর্চা সভাপতি ও ২১ জন জেলা পদাধিকারীদের সঙ্গে জনসভা ও যোগদান মেলার প্রস্তুতি নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক হয়। বুথে-বুথে তৃণমূলের মোকাবিলা করার ‘দাওয়াইও’ দেন তিনি সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া সাংসদ সুনীল মণ্ডলও এ দিন কাটোয়ায় আসেন। তাঁর দাবি, ‘‘তৃণমূলের সন্ত্রাসের কথা তুলে ধরতে ওই দিনের সভায় আমি যাচ্ছি। অনেক বিধায়ক, এমপির সঙ্গে কাটোয়া শহরের অনেক কাউন্সিলরই আমাদের দলে যোগ দেবেন। সভামঞ্চেই তাঁদের দেখা যাবে। পুলিশের ভয় দেখিয়ে ওঁদের বেশি দিন আটকে রাখা যাবে না।’’ একই দাবি কৃষ্ণ ঘোষেরও। যদিও তৃণমূলের কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘সবটাই বিজেপির অপপ্রচার। দল ছেড়ে কেউ যাবেন না।’’

বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন সকাল ৯টা নাগাদ জেপি নড্ডার হেলিকপ্টারে কাটোয়ায় আসার কথা। মণ্ডলহাট গ্রামে হেলিপ্যাড করা হবে। সেখান থেকে কাটোয়া শহরের গৌরাঙ্গপাড়ায় চৈতন্যদেবের দীক্ষাস্থল গৌরাঙ্গ মন্দিরে পুজো দিয়ে কাটোয়া-কালনা এসটিকেকে রোডের ধারে মুস্থুলিতে জনসভায় যোগ দেওয়ার কথা তাঁর। দাঁইহাটে একটি বাড়িতে দুপুরে খাওয়ার পরে, ফেরার কথা তাঁর। জেলা পুলিশের সূত্রের দাবি, নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জোর দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

এ দিনই বিজেপি তফসিলি মোর্চার তরফে সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ করেন জেলা তফসিলি মোর্চার সভাপতি সুজিত মজুমদার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement