Protest

শ্মশানের রাস্তা দখল

এডিডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন নির্মাণ কাজ চলছে। কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে এডিডিএ-র তরফে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৩ ০৯:২৯
Share:

বিজেপির ক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র

খাস জমি, চাষ জমি বেআইনি ভাবে দখল করে পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলা হচ্ছে। এমন অভিযোগ তুলে দুর্গাপুরের গোপালমাঠ ও লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা রবিবার ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে প্রতীকী মৃতদেহ রেখে অবিলম্বে শ্মশানে যাওয়ার রাস্তা উদ্ধার এবং বেআইনি ভাবে দখল করে রাখা অন্য জমি ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানালেন। নেতৃত্বে ছিল বিজেপি।

Advertisement

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, গোপালমাঠ, কাণ্ডেশ্বর প্রভৃতি মৌজায় কিছু নির্মাণ ব্যবসায়ী দখলদারি চালাচ্ছেন। পুকুর, শ্মশানে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। চাষিরা চাষ করতে পারছেন না। বিপাকে পড়ছেন খেতমজুর, বর্গাদারেরা। অবিলম্বে বেআইনি পাঁচিল ভেঙে দিয়ে রাস্তা খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে কিছু দিন আগে এডিডিএ কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পরে জাতীয় সড়কের ধারে একাধিক বার বিক্ষোভ দেখানো হয়। কিন্তু তাতেও লাভ না হওয়ায় রবিবার প্রতীকী দেহ নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রতীকী দেহে ফুলের মালা দিয়ে হরিবোল ধ্বনি দিয়ে চলতে থাকে বিক্ষোভ। অভিযোগ, শ্মশানের জমি দখল হয়ে গিয়েছে। এর জেরে শ্মশানে দাহ করতে যেতে পারছেন না বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা লক্ষ্মী বাউড়ি বলেন, “শ্মশানে দেহ নিয়ে যাওয়ার রাস্তা নেই। পূর্বপুরুষের আমল থেকে শ্মশান। এখন জমি দখল হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা চরম সমস্যায় পড়েছেন।” অশান্তি এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন ছিল। বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ চলার পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

এ দিকে, বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। বিজেপির ১ নম্বর মণ্ডল সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “তৃণমূল আশ্রিত জমি মাফিয়ারা শ্মশানের জমি ও শ্মশানে যাওয়ার রাস্তা দখল করে নিয়েছে।” তবে, দুর্গাপুরের তৃণমূল নেতা তথা দুর্গাপুর পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মানুষ সমস্যায় পড়ছেন। সেটা সংশ্লিষ্ট দফতর নিশ্চয়ই দেখবে। কিন্তু বিজেপির অভিযোগের তীব্র বিরোধিতা করছি। আমাদের দলের কেউ এ সবে জড়িত নয়।”

Advertisement

এডিডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন নির্মাণ কাজ চলছে। কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে এডিডিএ-র তরফে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কেউ বেআইনি ভাবে জমি দখল করে রাখলে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।

সংশ্লিষ্ট নির্মাণ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement