কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু।
দল ছেড়ে সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দেওয়া বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডুর বিরুদ্ধে টেট কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলে বুধবার কালনার সভায় সরব হয়েছিলেন তৃণমূল নেতারা। বৃহস্পতিবার তৃণমূল নেতাদের নাম ধরে পাল্টা অভিযোগ করলেন বিশ্বজিৎবাবু। পূর্ব বর্ধমানের কয়েকজন নেতার পাশাপাশি, বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে টেট মারফত নিয়োগে সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ তুললেন তিনি।
বুধবার কালনা নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দলের সভায় তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেন, বিধায়ক তৃণমূলে থাকাকালীন নিজের পরিজনদের চাকরির ব্যবস্থা করেছিলেন। এ বার বিজেপির হয়ে জিতলে ফের তাঁর পরিবারের লোকজনই চাকরি পাবেন বলে দাবি করেন কালনার তৃণমূল নেতা প্রণব রায়। এরই প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বজিৎবাবু এ দিন দাবি করেন, ২০১৪ সালে টেটে যে নিয়োগ হয়েছে, তাতে তৃণমূলের কর্মী বা পছন্দের লোকজনই চাকরি পেয়েছেন।
বিধায়কের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ, তপন চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলের মতো অনেক নেতাই চাকরি দিয়েছেন। আমার স্ত্রী, বৌদি চাকরি পেয়েছেন ঠিকই। এ ছাড়া, আমি যে ৬২ জনকে চাকরি দিয়েছি, তাঁরা সবাই তৃণমূলের কর্মী।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘আমি সাধারণ বিধায়ক। দল যেমন বলেছিল, তেমনই কাজ করেছিলাম।’’ কালনার বিজেপি নেতা ধনঞ্জয় হালদারের দাবি, ‘‘টেটে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা পরিষ্কার। বিধায়ক শাসক দলের কোন কোন নেতা জড়িত, তা জানিয়ে দিচ্ছেন।’’
তৃণমূল নেতারা যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের প্রতিক্রিয়া, ‘‘এ নিয়ে আমি কিছু বলব না। মানুষই জবাব দেবেন।’’ পূর্বস্থলী উত্তরের তৃণমূল নেতা তপনবাবুর দাবি, ‘‘বিশ্বজিৎ ভুল বকছে।’’ অনুব্রত মণ্ডলেরও দাবি, ‘‘বিশ্বজিৎ কুণ্ডু নিজে দুর্নীতিগ্রস্ত। বাড়ির সবাইকে চাকরি দিয়েছেন। এখন আমাদের নাম জড়িয়ে যদি বাঁচা যায়, সে কথা ভেবেই এ সব বলছেন।’’