বরাকরে দুই রাজ্যের সীমানায় চেক পোস্ট। নিজস্ব চিত্র
প্রকাশ্যে চলছে সাট্টা, জুয়া ও মাদকের কারবার। এর জেরে প্রায় দিনই অশান্তির পরিবেশ তৈরি হচ্ছে কুলটির নানা এলাকায়, পুলিশ কমিশনরাটের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি। পুলিশ অবশ্য জানায়, গোটা এলাকা জুড়ে অপরাধমূলক কাজকর্ম বন্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
বিজেপির কুলটি মণ্ডলের তরফে এডিসিপি (পশ্চিম)-এর কার্যালয়ে জমা দেওয়া ওই অভিযোগপত্রে দাবি করা হয়েছে, কুলটির লছিপুরে দিশা জনকল্যাণ কেন্দ্র লাগোয়া কিছু ঘরে জুয়ার বোর্ড চালানো হচ্ছে। নানা দুষ্কর্মে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি সেগুলি চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। বিজেপির ওই মণ্ডলের সভাপতি অমিত গড়াই অভিযোগ করেন, প্রতিদিন বহিরাগতেরা জুয়ার আসরগুলিতে যোগ দেয়। নানা কারণে তারা নিজেদের মধ্যে গোলমাল পাকায়। তাঁর আরও অভিযোগ, সীতারামপুর স্টেশন লাগোয়া অঞ্চলেও প্রতিদিন জুয়ার আসর বসাচ্ছে দুই ব্যাক্তি। সেখানেও বহিরাগতেরা জড়ো হয়। রাতবিরেতে সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে তারা টাকা ও জিনিসপত্র ছিনতাইও করে বলে অভিযোগ।
সীতারামপুরের বিজয়চক নগর ও নিয়ামতপুর সব্জিপট্টি এলাকাতেও রমরমিয়ে সাট্টার কারবার চলছে বলে অভিযোগ। কুলটি, বরাকর, আলডি, চিনাকুড়ি, লছিপুর, মিঠানিতে মাদকের কারবারও চলছে বলে অভিযোগ বিজেপির। অমিতবাবু দাবি করেন, ‘‘আমরা আগেও বহু বার এ বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপের জন্য পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছি। কিন্তু কোনও উদ্যোগ হয়নি। ফলে, দিন-দিন কুলটি বিধানসভা এলাকায় দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য বাড়ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।’’
যদিও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ মানতে চায়নি কুলটি থানা। আধিকারিকেরা দাবি করেন, বারবার অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। বিজেপির অভিযোগ পাওয়ার পরেও অভিযান হয়েছে বলে পুলিশ অফিসারেরা দাবি করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৬ জুলাই লছিপুরে অভিযান চালিয়ে জুয়ার ঠেক থেকে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রায় ১১ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত হয়। তবে জুয়ার বোর্ড চালানোর দুই পাণ্ডাকে ধরা যায়নি। সীতারামপুর স্টেশন অঞ্চলেও অভিযান চালিয়ে জুয়াড়ি সন্দেহে তিন জন ও মোবাইল চোর সন্দেহে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে গোটা দশেক চোরাই ফোন। এডিসিপি (পশ্চিম) অনমিত্র দাস বলেন, ‘‘পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালাচ্ছে। ধরপাকড়ও চলছে।’’