গোপগন্তার ১ পঞ্চায়েতে চলছে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
‘কাটমানি’ ফেরত চেয়ে একাধিক পঞ্চায়েত দফতরে বিক্ষোভ, তৃণমূল প্রধান, উপপ্রধানকে নিগ্রহের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। বিজেপি যদিও কোনও অভিযোগই মানেনি।
শুক্রবার মেমারির গোপগন্তার ১ পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। বিজেপির অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর তৈরির নামে তৃণমূলের নেতারা কাটমানি নিয়েছেন। তা ফেরত দিতে হবে। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ছিলেন বাহাবপুর গ্রামের কয়েকজন। তাঁদের দাবি, পঞ্চায়েত সদস্য কারও কাছে ১০, কারও কাছে ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন। স্থানীয় বিজেপি নেতা পিন্টু ঘোষের দাবি, “পঞ্চায়েত প্রতি আর্থিক বছরে কাজের খতিয়ান দিয়ে একটি বই বের করে। তাতে দেখা যাচ্ছে জয়রামপুর মৌজায় একটি স্নানঘাট তৈরি হয়েছে ৯ লক্ষেরও বেশি টাকা খরচ করে। অথচ ওখানে কিছুই হয়নি।’’ এলাকার বিজেপি সভাপতি স্বরূপ ঘোষের দাবি, “তথ্য জানার অধিকার আইনে অনেক কিছু জানতে চেয়েছি।’’
বৃহস্পতিবার রাধাকান্তপুরে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে আবার বিক্ষোভ দেখানোর নামে কার্যত ‘হামলা’ চালানো হয়েছে বলে তৃণমূলের অভিযোগ। দলের নেতাদের দাবি, পঞ্চায়েতের প্রধান-উপপ্রধানকে বিজেপির লোকজন নিগ্রহ করেছে। ওই পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী অজয় মণ্ডলের অভিযোগ, “বিক্ষোভ দেখানোর নামে দলীয় দফতর থেকে আমাকে ও অঞ্চল সভাপতিকে বের করে মারধর করা হয়। রাতেই থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।’’ বাগিলা গ্রাম পঞ্চায়েতেও একই কান্ড ঘটেছে, তাঁদের দাবি। তৃণমূলের মেমারি ১ ব্লক যুব সভাপতি নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার বিডিওকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, বিজেপির নেতৃত্বে পঞ্চায়েতে ঢুকে প্রধান-উপপ্রধানদের হেনস্থা করা হচ্ছে, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হচ্ছে। মেমারির দেবীপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি কাটমানি আদায়ের আশ্বাস দিয়ে প্রচার করছে বলেও তৃণমূলের অভিযোগ।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ বলেন, “বিজেপি একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। আমাদের কর্মীকে খুন করেছে। এরপর একটা ঘটনা ঘটলেও সন্ত্রাসের প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’’ বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য ভীষ্মদেব ভট্টাচার্যের পাল্টা , “প্রতিরোধ করতে গেলে মানুষ দরকার। জনগণই ণমূলকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।