নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের মহিলা প্রার্থীর গায়ে ভাতের ফ্যান ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার খাজুরডিহি গ্রাম পঞ্চায়েতের একাইহাটের সীতাকুমারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২২ নম্বর বুথের ঘটনা। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির লোকেদের মারধরের জেরে প্রিয়ঙ্কা মণ্ডল নামে তৃণমূলের ওই প্রার্থী বুথের মধ্যেই জ্ঞান হারান। বিজেপি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
তৃণমূলের অভিয়োগ, ব্যালট বাক্সে ভাতের ফ্যান ও গরম জল ফেলে দেওয়ার প্রতিবাদ করার প্রিয়ঙ্কাকে মারধর করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী বিউটি বিবি বলেন, ‘‘বিজেপি হেরে যাওয়ার ভয়ে ব্যালট বাক্স নিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল। আমাদের প্রার্থী তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করলে তাঁকে মারধর করা হয়। গায়ে গরম জল ঢেলে দেওয়া হয়।’’ গুরুতর জখম অবস্থায় প্রিয়ঙ্কাকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
অন্য দিকে, হাওড়ায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যালট বক্সে জল ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। ডোমজুড়ের অঙ্কুরহাটি কিবরিয়া গাজি উচ্চ বিদ্যালয়ে মহিয়ারী ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে ৩ ও ৪ নম্বর বুথে ভোটগ্রহণ চলছিল। স্থানীয় সূত্রে দাবি, দুপুর আড়াইটে নাগাদ আচমকা একদল তৃণমূল কর্মী জোর করে বুথে ঢুকে পড়েন। এর পর তাঁরা ব্যালট বক্সে জল ঢেলে দেন বলে অভিযোগ। বিরোধী দলের এজেন্টরা তার প্রতিবাদ করলে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। ঘটনাস্থলে ডোমজুড় থানার ওসির নেতৃত্বে ছুটে আসে বিরাট পুলিশ বাহিনী। এই ঘটনা জেরে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।