পূর্ব বর্ধমানে রেল অবরোধ বন্ঝ সমর্থকদের। নিজস্ব চিত্র।
কৃষকদের ডাকা ভারত বন্ধে ভালই প্রভাব পড়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলাতে। বর্ধমান থেকে বিভিন্ন জায়গায় ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক থাকলেও, রাস্তায় নামেনি অধিকাংশ বেসরকারি বাস। পূর্ব বর্ধমানের অধিকাংশ জায়গাতে বন্ধ রয়েছে দোকানপাট। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় নেমে যানবাহন ও ট্রেন অবরোধ করেছেন বন্ধ সমর্থনকারীরা।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই দেখা যায় বর্ধমান-সহ সর্বত্র ট্রেন চলাচল মোটের উপর স্বাভাবিকই রয়েছে। কিন্তু বেসরকারি বাস চলছে না। বর্ধমান থেকে কাটোয়া, কালনা, মেমারি ও গুসকরা রুটের বেসরকারি বাস বন্ধ রয়েছে। আলিসা বা নবাবহাট বাস টার্মিনাস থেকে বিভিন্ন শহরগামী বাসগুলো ছাড়েনি। যদিও বর্ধমান শহরে স্থানীয় পরিবহণ চালু আছে। বর্ধমান থেকে কলকাতা বা দুর্গাপুর যাওয়ার সরকারি বাসও চলছে। বর্ধমানে বাজার দোকান খোলা রয়েছে অন্যান্য দিনের মতোই।
সারা ভারতের কৃষক আন্দোলনের এবং আজকের ধর্মঘটের সমর্থনে পথে নেমেছে বামপন্থী সংগঠন সারা ভারত কিসান সভা। সংগঠনের কর্মীরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন শক্তিগড়ে। ব্যস্ত রাস্তা অবরুদ্ধ হওয়ায় আটকে পড়ে যানবাহন। কৃষক সংগঠনের কর্মী-সমর্থকরা মঙ্গলবার সকাল থেকে বর্ধমান গুসকরা জাতীয় সড়কের বরা চৌমাথায় পথ অবরোধ করেন। সংগঠনের নেতা বামাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘কেন্দ্রের কৃষি আইন কৃষকের জীবনে চরম বিপন্নতা নামিয়ে এনেছে। তাই আজ দিল্লি-সহ গোটা দেশে কৃষকরা রাজপথে।’’
ভাতারে বর্ধমান-কাটোয়া রেললাইনে অবরোধ করেন বন্ধ সমর্থনকারীরা। যার জেরে কাটোয়া-বর্ধমান রুটে ট্রেন চলাচল বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল। আন্দোলনে নেমেছে জেলা কংগ্রেসও। তাদের পক্ষ থেকে নবাবহাটে পথ অবরোধ করা হয়। গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কাটোয়াতে সব্জি বাজার খোলা থাকলেও অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। কংগ্রেস নেতা গৌরব সমাদ্দার বলেছেন, ‘‘দেশজোড়া আন্দোলনের সমর্থনে আমাদের এই কর্মসূচি।’’ অন্যদিকে সিপিএমের পক্ষ থেকে কৃষক আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে মিছিল করা হয় কার্জন গেটে। মিছিল করা হয় পার্কাস রোডেও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুল পুড়িয়েও প্রতিবাদ জানান ধর্মঘট সমর্থনকারীরা।