Bardhaman University

হস্টেল পরিচালনার স্থায়ী কর্মীই নেই হস্টেলে

বৃহস্পতিবার এক বৈঠকে কর্তৃপক্ষের কাছে এমনই দাবি জানিয়েছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর।এর মধ্যে, র‌্যাগিং নিয়ে পড়ু্য়াদের সচেতন করতে জেলা পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলেজে গিয়ে শিবির করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২৩ ০৭:২১
Share:

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।

হস্টেল পরিচালনা বা দেখভালে স্থায়ী কর্মীই নেই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকেরাই অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে নানা পদের কাজ সামলান। তাঁরা কেউ অবশ্য হস্টেলে থাকেন না। কিন্তু হস্টেলগুলি নিয়মিত উপযুক্ত পরিচালনা করতে ছাত্রদের হস্টেলে স্টুয়ার্ড এবং ছাত্রীদের হস্টেলে মেট্রন রাখা বাধ্যতামূলক, ১১টি হস্টেলের সুপারেরা বৃহস্পতিবার এক বৈঠকে কর্তৃপক্ষের কাছে এমনই দাবি জানিয়েছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর।এর মধ্যে, র‌্যাগিং নিয়ে পড়ু্য়াদের সচেতন করতে জেলা পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলেজে গিয়ে শিবির করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জেলা পুলিশ জানায়, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, মেডিক্যাল কলেজেও এই শিবির করা হবে। পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেন, ‘‘র‍্যাগিং বন্ধ করার লক্ষ্যে পড়ুয়াদের সচেতন করা হবে।’’ সোমবার দুপুরে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরে পুলিশ সুপার থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।জেলায় ‘অ্যান্টি-র‍্যাগিং’ কমিটির মাথায় রয়েছেন জেলাশাসক। পুলিশ সুপার, তিনটি কলেজের অধ্যক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার-সহ আরও অনেকে ওই কমিটির সদস্য। যাদবপুর-কাণ্ডের পরে গা ঝাড়া দিয়ে উঠছে জেলা প্রশাসনও। জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা বলেন, ‘‘আমাদের অ্যান্টি-র‍্যাগিং কমিটি রয়েছে। আমরা শীঘ্র বৈঠকে বসব।’’ সদ্য ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে, নতুন পড়ুয়ারা হস্টেলে ঢুকতে শুরু করেছে। বর্ধমান শহরের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ইউআইটি-তে গত কয়েক বছর র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠেনি। কলেজের অধ্যক্ষ অভিজিৎ মিত্র বলেন, ‘‘যাদবপুর কাণ্ডের পরেই হস্টেলের ছাদগুলি ‘সিল’ করে দেওয়া হয়েছে। হস্টেলের ছাদই হচ্ছে র‍্যাগিং করার প্রিয় জায়গা। সে জন্য ছাদ বন্ধ থাকলে র‍্যাগিং কমানো যাবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement