গোপন জবানবন্দি দিলেন বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
আসানসোলের সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীকে হুমকি চিঠি দেওয়ার ঘটনায় জড়িয়ে পড়া আদালতে পূর্ব বর্ধমানের এগজিকিউটিভ আদালতের আপার-ডিভিশন ক্লার্ক (ইউডিসি) বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের গোপন জবানবন্দি নেওয়া হল। শুক্রবার আসানসোল আদালতের জেএম ৭ ওই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। আদালতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন আসানসোল দক্ষিণ থানার তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক প্রবীর কুমার পাল। জবানবন্দি দিয়ে বাইরে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আইন আইনের পথেই চলবে।’’ আবারও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে বাপ্পা বলেন, ‘‘আমায় ফাঁসানো হয়েছে।’’
গরু পাচার মামলায় ধৃত বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে জামিন না দিলে তাঁর পরিবারকে ‘গাঁজা কেসে’ ফাঁসানো হবে, এই মর্মে হুমকি চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিচারক চক্রবর্তী। সেই চিঠির প্রেরক হিসাবে বাপ্পারই নাম ও সই রয়েছে। যদিও বাপ্পা প্রথম থেকেই দাবি করেছেন, বর্ধমান আদালতের এক আইনজীবী-সহ তিন জন হুমকি-চিঠি দিয়ে তাঁকে ‘ফাঁসানোর’ চেষ্টা করেছেন। এই মর্মে তৃণমূল প্রভাবিত ‘পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন’-কে চিঠিও দিয়েছেন বাপ্পা। শুক্রবার গোপন জবানবন্দি দেওয়ার পর বাপ্পা বলেন, ‘‘আইন আইনের পথে চলবে। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। আমায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে। চিঠির সই ও স্ট্যাম্প জাল করা হয়েছে।’’
হুমকি চিঠির তদন্তে বৃহস্পতিবারও বাপ্পাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে আসানসোল পুলিশ কমিশনারেটের দুই পুলিশকর্তা। জিজ্ঞাসাবাদের পর বাপ্পা দাবি করেন, সুদীপ্ত রায় নামে বর্ধমান আদালতের এক আইনজীবী দিন দুয়েক আগে তাঁকে আদালত চত্বরে হুমকি দিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমায় বলেছিল, ‘তোর যা ব্যবস্থা করার, হয়ে গিয়েছে। এ বার তোর চাকরি খাব।’’ বাপ্পা জানান, এই বিষয়টি তিনি মহকুমাশাসককে জানিয়েছেন। তাঁর অনুমান, হুমকি চিঠির পিছনে ওই আইনজীবীই রয়েছেন। বাপ্পার এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সুদীপ্তের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি ফোন ধরে শুধু বলেন, ‘‘এখন ব্যস্ত আছি।’’ তার পর ফোন কেটে দেন।