চিত্তরঞ্জন রোডে তখন চলছে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
আদালতের নির্দেশে ভিন্ রাজ্য ও ভিন্ জেলার অটো ধরপাকড় শুরু করেছে আসানসোলের মোটর ভেহিকেল দফতর। এর প্রতিবাদে সোমবার চিত্তরঞ্জন রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন এক দল অটো চালক। এর জেরে যানজট হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা পরে বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ পুলিশের মধ্যস্থতায় অবরোধ ওঠে।
আসানসোলের মোটর ভেহিকেল দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, আসানসোল মহকুমার কোথাও ঝাড়খণ্ড ও পুরুলিয়ার পরিবহণ দফতর অনুমোদিত অটো চলবে না। এর পরেই মহকুমা জুড়ে ঝাড়খণ্ড ও পুরুলিয়ার নম্বরের অটো ধরপাকড় শুরু হয়েছে। রূপনারায়ণপুর, চিত্তরঞ্জনেও তা চলছে। গত কয়েকদিনে প্রায় ৪০টি অটো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এরই প্রতিবাদে সোমবার দুপুর আড়াইটা নাগাদ দেশবন্ধু পার্ক লাগোয়া জলট্যাঙ্ক মোড়ের কাছে চিত্তরঞ্জন রোড অবরোধ শুরু করেন অটো চালকেরা। তার জেরে সার বেঁধে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ে আসানসোল-চিত্তরঞ্জন রুটের সমস্ত যানবাহন। বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ পুলিশের তরফে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।
অবরোধকারী অটো চালকদের দাবি, বাজেয়াপ্ত অটোগুলি ছেড়ে দিতে হবে। তাঁদের অভিযোগ, আসানসোলের পরিবহণ দফতর এলাকায় অটো চালানোর অনুমোদন দিচ্ছে না। তাই এলাকার বেকার যুবকেরা ঝাড়খণ্ড ও পুরুলিয়ার পরিবহণ দফতরে অনুমোদন করিয়ে অটো চালাচ্ছেন। কিন্তু এখন অটো ধরপাকড়ে তাঁরা বিপাকে পড়েছেন। তাঁরা জানান, রূপনারায়ণপুরের ডাবর মোড়, চিত্তরঞ্জনের এক নম্বর গেট, আমলাদহি বাজার, কল্যাণগ্রাম-সহ নানা স্ট্যান্ডে শ’দুয়েক লোক অটো চালিয়ে সংসার চালান। সালানপুর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষও যাতায়াতের জন্য এই অটোর উপরেই নির্ভরশীল। তাই অটো বাজেয়াপ্ত করায় সব পক্ষই সমস্যায় পড়বেন বলে দাবি তাঁদের।
আসানসোল মহকুমা পরিবহণ আধিকারিক মানস হালদার অবশ্য জানান, আদালত যেমন নির্দেশ দিয়েছে, সেই অনুযায়ীই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।