দুর্ঘটনার পর দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু হয়। —নিজস্ব চিত্র।
দুর্গাপুজোর পর উত্তরাখণ্ডের দেহরাদূনে বেড়াতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল আসানসোলের পাঁচ বাঙালি পর্যটকের। আহত কম পক্ষে ১৫ জন। বুধবার সড়কপথে যাওয়ার সময় পর্যটকদের দু’টি গাড়ি খাদে পড়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, সড়কপথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পর্যটকদের একটি গাড়ি উল্টে যায়। তার সঙ্গে ধাক্কা লেগে অন্য গাড়ি দু’টিও গিয়ে পড়ে খাদে। দুর্ঘটনার পর উদ্ধারকাজে নামে স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন। আহতেরা স্থানীয় হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্ঘটনায় মৃতেরা হলেন, কিশোর ঘটক (৫৯), শ্রাবণী চক্রবর্তী (৫৫), সুব্রত ভট্টাচার্য (৬১), চন্দনা ভট্টাচার্য খান (৬৪) এবং রুনা ভট্টাচার্য (৫৬)। এঁরা প্রত্যেকেই রানিগঞ্জ-আসানসোল শিল্পাঞ্চলের বাসিন্দা ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, দিন দুয়েক আগে আসানসোলের একটি স্থানীয় পর্যটন সংস্থার সঙ্গে দেহরাদূন ঘুরতে গিয়েছিলেন সেখানকার ৩০ জন পর্যটক। বুধবার উত্তরাখণ্ডের মুন্সিয়ারি ঘোরাঘুরি করে কৌশানি ফেরার পথে পর্যটকদের পর পর দু’টি গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়।
খাদে পড়ে যায় পর্যটকদের গাড়ি। —নিজস্ব চিত্র।
উত্তরাখণ্ড পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার কাপকোট থানা এলাকার বেটপ ড্রেনের কাছে শামা-তেজাম মোটরওয়ের মুন্সিয়ারি থেকে কৌসানির দিকে আসছিল একটি টেম্পো। হঠাৎই ওই টেম্পোর চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। সড়কপথে উল্টে যায় টেম্পোটি। এর জেরে টেম্পোর পিছনে থাকা পর্যটকদের অন্যান্য গাড়িও দুর্ঘটনার কবলে প়়ড়ে। উল্টে যাওয়া টেম্পোর সঙ্গে পিছনের গাড়িটির ধাক্কা লেগে পর্যটকবোঝাই দু’টি গাড়ি খাদে পড়ে যায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় উদ্ধারকারী দল ও পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করে স্বাস্থ্যকেন্দ্র-সহ স্থানীয় জেলা হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় পাঁচ জনের। কাপকোট থানার এক আধিকারিক মদন লাল বলেন, ‘‘দুর্ঘটনায় মোট ১৫ জন আহতের মধ্যে গুরুতর জখম হয়েছেন দু’জন। তাঁদের জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। এ ছাড়া, কাপকোট স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে সাত জনকে। অন্যদের সামান্য আঘাত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।’’
পর্যটকদের সঙ্গে রয়েছেন আসানসোল জেলা হাসপাতালের সহকারি সুপারিন্টেনডেন্ট কঙ্কন রায়ও। তিনি বলেন, ‘‘দুর্ঘটনার পর উদ্ধারকাজ থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন যথেষ্ট সাহায্য করছে।’’