Demolition Drive

হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে বেআইনি নির্মাণ ভাঙা শুরু আসানসোল পুরসভার, খুশি অভিযোগকারী

অভিযোগকারীর দাবি, পুরসভা তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে নির্মাণকারীকে অবৈধ নির্মাণ ভাঙার নোটিস জারি করে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে যান অভিযুক্ত। কিন্তু কোর্টও নির্মাণ ভাঙার পক্ষেই মত দেয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:২৫
Share:

জোরকদমে চলছে বেআইনি নির্মাণ ভাঙার কাজ। — নিজস্ব চিত্র।

ফের অবৈধ নির্মাণ ভাঙল আসানসোল পুরসভা। বুধবার আসানসোলের ইমাম আলি লেনের ডেভি কোম্পানি গলিতে একটি নির্মীয়মাণ দোতলা দোকান ভাঙার কাজ শুরু করে আসানসোল পুরসভা। বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চলবে বলে জানিয়েছে পুরসভা।

Advertisement

আসানসোল পুরসভার ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইমাম আলি লেন। সেখানে বহাল তবিয়তে রাস্তা দখল করে নির্মাণকাজ চলছিল। এ জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ী চন্দন নাগের ব্যবসা বন্ধ হতে বসেছিল বলে তাঁর অভিযোগ। তিনি আসানসোল পুরসভায় অভিযোগ জানান। পুরসভা সূত্রে জানা যায়, নির্মাণের কোনও অনুমোদন ছিল না। এর পর ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে আসানসোল পুরসভার তরফে নির্মাণকারীকে নোটিস দেওয়া হয়। বলা হয়, অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দিতে হবে। কিন্তু চন্দনের দাবি, নির্মাণকারী সেই নোটিস অগ্রাহ্য করেন, দ্বারস্থ হন হাই কোর্টের। শেষ পর্যন্ত হাই কোর্টও পুরসভার সিদ্ধান্তকেই বহাল রাখে। নির্দেশ দেয় বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার। এর পর বুধবার সকাল থেকে আসানসোল পুরসভা ওই অবৈধ নির্মাণ ভাঙার কাজ শুরু করে দিল।

অভিযোগকারী ব্যবসায়ী চন্দন বলেন, ‘‘বেআইনি নির্মাণ নিয়ে পুরসভাকে অভিযোগ করেছিলাম। তার পর পুরসভা নির্মাণকারীকে নোটিস দেয়। কিন্তু সেই নোটিস মানা হয়নি। হাই কোর্টও ভাঙার পক্ষেই মত দেয়। তার পর পুরসভা ভাঙা শুরু করেছে। আমাকে গত দু’বছর ধরে অন্ধকারে পর্দা টাঙিয়ে রাখা হয়েছে। পুরসভা আমার আবেদনে সাড়া দিয়েছে। মেয়র নিজে আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। পুরসভা এ ভাবে পাশে আছে জেনে আমি আসানসোলবাসী হিসাবে খুব খুশি।’’

Advertisement

আসানসোল পুরসভার এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার রাজেশ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘রাস্তা দখল করে বেআইনি নির্মাণ হয়েছিল। আমরা আগেই ভাঙার নোটিস দিয়েছিলাম। কিন্তু তাতে বেআইনি নির্মাণ ভাঙা হয়নি। তাই আজ আমরাই ভাঙতে শুরু করলাম। আদালতের ব্যাপার আমার জানা নেই। তবে মেয়রের নির্দেশ রয়েছে, শহরে কোনও বেআইনি নির্মাণ বরদাস্ত করা হবে না। পরবর্তীসময়েও এই ধরনের অভিযান চলবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement