Illegal Shops eviction

উচ্ছেদ অভিযানে ‘হেনস্থা’ এডিডিএ-র লোকজনকে

কয়েকটি দোকান ভাঙার পরে একটি ক্লাব ভাঙতে যেতেই ক্লাবের সদস্য ও দোকানদারেরা এডিডিএ-র কর্মী, আধিকারিকদের বাধা দেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২৩ ০৯:৪৫
Share:

উচ্ছেদে বাধা। দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে। —নিজস্ব চিত্র।

অবৈধ দোকানদারদের উচ্ছেদ করতে গিয়ে ফের বাধার মুখে পড়ল আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ (এডিডিএ)। মঙ্গলবার দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের ঘটনা। এডিডিএ সূত্রে অভিযোগ, উচ্ছেদ অভিযানে গিয়ে বিক্ষোভকারী দোকানদারদের হেনস্থার মুখেও পড়তে হয় পর্ষদের আধিকারিকদের। তাঁদের এলাকাও ছাড়তে হয়। পর্ষদের চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা মাথাদের চিহ্নিত করেছি।
সরকারি আধিকারিকের কাজে বাধা দেওয়া ও হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করা হবে।”

Advertisement

সিটি সেন্টারে বেশ কিছু দোকান ও অন্য নির্মাণ অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত করে লাল কালি দিয়ে ‘ক্রশ’ এঁকে দিয়েছে এডিডিএ। সেগুলি সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হচ্ছে। তার পরে উচ্ছেদ অভিযান চলছে। উচ্ছেদ করতে গিয়ে মাঝেমাঝেই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে এডিডিএ-র আধিকারিকদের।

এ দিন এলাকার কয়েকটি দোকান ভাঙার পরে একটি ক্লাব ভাঙতে যেতেই ক্লাবের সদস্য ও দোকানদারেরা এডিডিএ-র কর্মী, আধিকারিকদের বাধা দেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ, এডিডিএ-র আধিকারিক ও পুলিশকে টানাহেঁচড়া করে ক্ষোভ জানাতে থাকেন কয়েক জন বিক্ষোভকারী। যদিও, শেষ পর্যন্ত পুলিশ এডিডিএ-র লোকজনকে নিরাপদে এলাকা থেকে বার করে দেয়। এর পরেও পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বেশ কিছুক্ষণ বোঝানোর চেষ্টা করে। তবে তাতে লাভ হয়নি।

Advertisement

বিক্ষোভকারীদের তরফে অখিল সিংহ বলেন, “অদূরেই তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় রয়েছে। সেটি ভাঙা হচ্ছে না। আমাদের দোকান ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। পুনর্বাসন না দিয়ে তা ভাঙা যাবে না।” উপস্থিত পুলিশকর্মীরা বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁরা জানান, কোনও ভাবেই উচ্ছেদ করতে দেওয়া হবে না।
এ দিকে, তাপসের দাবি, “দলীয় কার্যালয়টি রয়েছে হাউজ়িং বোর্ডের জায়গায়। সেটি তারা ভাঙবে না রাখবে, তা তাদের বিষয়। এডিডিএ-র জায়গায় জবরদখল মানা হবে না।” পাশাপাশি, এডিডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, যত্রতত্র দোকান বসানো যাবে না। উচ্ছেদ অভিযানের পরে স্থায়ী স্টল বানিয়ে তা দোকানদারদের দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই, এমএএমসি এলাকায় ১৮টি এবং বিধাননগর এলাকায় ৪০টি এমন স্টল তৈরির কাজ প্রায় শেষ দিকে।

এ দিকে, যে ক্লাবটি ভাঙতে গিয়ে অশান্তি বাধে, সেই ক্লাবের তরফে জানানো হয়েছে, তারা নানা সামাজিক কাজকর্ম করে। তাই এডিডিএ-র কাছে ক্লাবের ঘরটি না ভাঙার আর্জি জানানো হয়েছে। তবে তাপস বলেন, “এডিডিএ-র জায়গায় ক্লাবের নাম করে মনোরঞ্জন, এটা চলবে না। আমার কাছে খবর আছে, ওই ক্লাবের সদস্যেরা অর্থের বিনিময়ে দোকান ভাড়া দেন। এ দিন আটকানো হল। পরের দিন ভাঙা হবে।”
যদিও ক্লাবের সম্পাদক স্বপন রায়চৌধুরী বলেন, “উনি ভুল খবর পেয়েছেন। উনি প্রমাণ দিলে আমরা নিজেরাই ক্লাব ভেঙে দেব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement