Murder

ডিপিএল পুনরুজ্জীবনে তৎপরতা, হল বৈঠকও

ডিপিএল পুনর্গঠনে কর্মী সংখ্যা কমাতে স্বেচ্ছাবসর বা বদলির মতো কিছু কড়া সিদ্ধান্ত নিতেই হবে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের মত।

Advertisement

সুব্রত সীট

শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২১ ০৫:৫২
Share:

দুর্গাপুর প্রজেক্টস লিমিটেড। নিজস্ব চিত্র ।

ডিপিএলের পুনরুজ্জীবনের জন্য তৎপরতা শুরু হয়েছে নতুন করে। এ বিষয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, খবর ডিপিএল সূত্রে।

Advertisement

ডিপিএল পুনর্গঠনে কর্মী সংখ্যা কমাতে স্বেচ্ছাবসর বা বদলির মতো কিছু কড়া সিদ্ধান্ত নিতেই হবে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের মত। কিন্তু শুরু হলেও দু’টির কোনওটিই শেষ পর্যন্ত সফল ভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। বিরোধিতা করেছিল বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনও। তবে এ বার সেই সব বিষয় নিয়ে নতুন করে নাড়াচাড়া শুরু হয়েছে বলে ডিপিএল সূত্রে জানা গিয়েছে।

গত ৩ জুন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ডিপিএলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। কোকআভেন প্ল্যান্টের প্রায় তিনশো কর্মীকে কার্যত বসিয়ে বেতন দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের দ্রুত কাজ দেওয়ার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। এ ছাড়া, ডিপিএলের অতিরিক্ত কর্মীর সংখ্যা কমাতে স্বেচ্ছাবসর প্রকল্পকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার প্রস্তাব দেন তিনি। ডিপিএলের ‘ওয়াটার ওয়ার্কস’ বিভাগ প্ল্যান্টে জল সরবরাহ করে। পাশাপাশি, টাউনশিপ-সহ কয়েক জায়গাতেও পানীয় জল সরবরাহ করা হয় ওই বিভাগ থেকেই। খরচ কমাতে বিভাগকে দু’ভাগ করে পানীয় জল সরবরাহের ভার দুর্গাপুর পুরসভার হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে বৈঠকে। একই সঙ্গে বাইরে থেকে কয়লা আমদানি কমাতে বড়জোড়ায় সংস্থার নিজস্ব খনিতে উৎপাদন প্রায় আড়াই গুণ বাড়ানোর বিষয়ে পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়। সেই সঙ্গে, ডিপিএলের উদ্বৃত্ত জমি বিক্রি করে আয় বাড়িয়ে সংস্থার হাল ফেরানোর প্রস্তাব বহু আগেই চূড়ান্ত করেছে রাজ্য সরকার।

Advertisement

রবিবার ডিপিএলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক বলেন, ‘‘তিন বছরেরও বেশি সময় হয়ে গেল, ডিপিএলের পুনরুজ্জীবনের উদ্যোগ শুরু হয়েছে। নানা কারণে তা গতি পাচ্ছে না। ফের তৎপরতা শুরু হয়েছে।’’ তবে ডিপিএল পুনরুজ্জীবনে রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিটু। সিটুর জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, ‘‘কয়েক বছর ধরেই আমরা ডিপিএলের পুনরুজ্জীবনের কথা বলে আসছি। কিন্তু হচ্ছে কই? কোকআভেন প্ল্যান্ট চালুর বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হল না। বাম আমলে গড়ে ওঠা দু’টি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনের একমাত্র ভরসা। তিন ভাগে ভাগ করা হল ডিপিএলকে। কর্মী, ঠিকাকর্মীদের মধ্যে দিন-দিন অনিশ্চয়তা বাড়ছে।’’ যদিও আইএনটিটিইউসি-র জেলা চেয়ারম্যান ভি শিবদাসন পাল্টা বলেন, ‘‘অহেতুক রাজনীতি করে লাভ নেই। ডিপিএলের পুনরুজ্জীবনে একজন কর্মীরও কাজ যাবে না বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করেছেন। সেটাই হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement