বর্ধমানে পুজো কমিটির প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক। নিজস্ব চিত্র।
দুর্গা পুজো নিয়ে পুজা কমিটিগুলির সঙ্গে বর্ধমানে বৈঠক করল পুলিশ-প্রশাসন। রবিবার বিকেলে সংস্কৃতি লোকমঞ্চে এই বৈঠকে বর্ধমান থানার অন্তর্গত পুজো কমিটিগুলির প্রতিনিধিরা যোগ দেন। বৈঠকে নানা অভাব-অভিযোগ নিয়ে আলোচনা হয়য় করোনা পরিস্থিতিতে পুজো দেখানোর জন্য বিশেষ অ্যাপের কথা জানানো হয় পুলিশের তরফে।
এ দিনের বৈঠকে ছিলেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, ডিএসপি সমরেশ দে, বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তী, দমকলের ওসি হরিসাধন সিংহ, ‘দুর্গা পুজো সমন্বয় সমিতি’র সম্পাদক রাজেশ সাউ প্রমুখ। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের প্রতিনিধি দীপম নাথ করোনা পরিস্থিতিতে কী ভাবে সতর্ক থাকতে হবে, বৈঠকে সে নিয়ে আলোচনা করেন। পুলিশ জানায়, এ বার জেলা পুলিশ বিশেষ অ্যাপ নিয়ে আসছে। তার মাধ্যমে বাড়িতে বসেই পুজো দেখা যাবে। যে সব পুজো কমিটি সিসিটিভি ব্যবহার করবে, সেখান থেকে ফুটেজ অ্যাপে নেওয়া হবে। বাধ্যতামূলক না হলেও, যে সব কমিটির পক্ষে সিসিটিভি বসানো সম্ভব, তাদের তা করার আর্জি জানান পুলিশকর্তারা। পুজো মিটে গেলে সিসি ক্যামেরাগুলি ক্লাবের আশপাশে বসিয়ে দিলে এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকবে বলেও জানানো হয়।
পুজো কমিটির তরফে ‘এক জানলা’ পদ্ধতির সরলীকরণ-সহ কিছু দাবি জানানো হয়। ইছলাবাদ সর্বজনীনের তরফে পার্থ সরকার পুজোর আগে শহরে রাস্তা সারানোর দাবি জানান। জোড়ামন্দির পুজো কমিটির তরফে গিরিজাশঙ্কর গুপ্ত রেল উড়ালপুলে আলো জ্বালানোর জন্য আবেদন করেন। বর্ধমান পুরসভার প্রশাসক প্রণব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুজো আগে রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ হচ্ছে।’’ বিধায়ক খোকনবাবুর আশ্বাস, উড়ালপুলে আলোর বিষয়টি নিয়ে তিনি উদ্যোগী হবেন।