খিদিরপুর রোডে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাড়ি উল্টে যায়। —নিজস্ব চিত্র।
মাঝ রাস্তায় উল্টে রয়েছে গাড়ি। সেটির সামনের দিকের অংশ দুমড়েমুচড়ে ভিতরের দিকে ঢুকে গিয়েছে। ভেঙে চুরমার উইন্ডস্ক্রিন। খুলে গিয়েছে গাড়ির ‘এয়ারব্যাগ’ও! বুধবার দুপুরে রেড রোড সংলগ্ন খিদিরপুর রোড থেকে এই অবস্থাতেই উল্টে যাওয়া গাড়ি থেকে চালক-সহ তিন জনকে উদ্ধার করল পুলিশ। সকলকেই এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। তবে কারও আঘাত গুরুতর নয়। পুলিশ নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গাড়ির চালককে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, গাড়িটি চালাচ্ছিলেন সৌরভ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি। গাড়ির পিছনের আসনে ছিলেন সঞ্চিতা বাগারিয়া এবং তাঁর শাশুড়ি সরলাদেবী বাগারিয়া। গাড়ির মালিক মণীশ বাগারিয়া পুলিশকে জানিয়েছেন, বাঙুর এলাকায় বাড়ি তাঁদের। জরুরি কাজে বাড়ির গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী এবং মা। চালক ভাড়ায় দেয়, এমন সংস্থা থেকে আসা সৌরভ গাড়ির চালকের আসনে ছিলেন। ই এম বাইপাস হয়ে মা উড়ালপুল ধরে তাঁরা এসএসকেএমের গেটের কাছে পৌঁছন। এর পরে সেখান দিয়ে ফোর্ট উইলিয়ামের সামনে দিয়ে খিদিরপুর রোড হয়ে রেড রোডের দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা। প্রথম থেকেই গাড়িটি বেপরোয়া গতিতে চালানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ দুই যাত্রীর।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, অতি দ্রুত গতিতে চলা গাড়িটি হঠাৎ ডান দিকের পথ বিভাজিকায় ধাক্কা মারে। পরে তার উপরে থাকা বিদ্যুতের একটি বাক্স উপড়ে, বাতিস্তম্ভে ধাক্কা মেরে উল্টে যায় গাড়িটি। এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, ‘‘এত জোরে কেন গাড়িটা চালানো হচ্ছিল কে জানে! উল্টে যাওয়ার পরেও ওই অবস্থায় গাড়িটি কিছুটা হিঁচড়ে সামনের দিকে এগিয়ে গিয়েছিল।’’ ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘চালক স্পষ্ট করে কিছু বলছেন না। জেরা করে দেখা প্রয়োজন।’’ এ দিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখা যায়, খিদিরপুর রোডের একাংশে যানজট তৈরি হয়েছে। রেড রোডেও গাড়ির গতি অত্যন্ত শ্লথ। এক পাশ দিয়ে গাড়িটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। পরে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সৌরভ কয়েক দিন আগেই চালক ভাড়ায় দেওয়ার ওই সংস্থায় নাম নথিভুক্ত করেন। তাঁর অসাবধানতার জন্যই এমনটা ঘটেছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চালকের দাবি, এয়ারব্যাগ খুলে যাওয়ার জন্য তিনি নিয়ন্ত্রণ হারান। সেই দাবি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।