কালনায় অনুপম হাজরা। —নিজস্ব চিত্র।
বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান ঘিরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠল বিজেপিতে। রবিবার কালনার কৃষ্ণদেবপুরে বিজেপির কার্যালয়ে একটি অনুষ্ঠান হয়। আবার সোমবার এই এলাকার তাঁতিপাড়ায় একটি লজে বিজেপির অন্য এক গোষ্ঠী ফের বিজয়া সম্মিলনী করে। সেখানে আসেন দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। তবে দেখা যায়নি দলের কাটোয়া সাংগঠনিক জেলার বেশির ভাগ নেতাকে। অনুষ্ঠানে অনুপম দাবি করেন, লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, দলের কর্মীদের একাংশের ক্ষোভ বাড়ছে। এটা শুভ সঙ্কেত নয়।
এ দিনের অনুষ্ঠান শুরুর আগে অনুপম সমাজ মাধ্যমে দাবি করেন, কাটোয়া সাংগঠনিক জেলার বঞ্চিত, অবহেলিত, বসিয়ে রাখা ও পদহীন বিজেপি নেতা-কর্মীদের আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দিতে চলেছেন তিনি। পরে আবার সমাজ মাধ্যমে তিনি দাবি করেছেন, এ দিনের অনুষ্ঠানে কর্মীদের উপস্থিতি সংখ্যা প্রমাণ করছে, বসিয়ে রাখা বা পদহীনদের সাংগঠনিক ক্ষমতা কতটা।
অনুষ্ঠানে অনুপম দাবি করেন, দলে যাঁরা ‘বিভীষণ’ রয়েছেন, তাঁদের বার করে দিতে হবে। তাঁর অভিযোগ, ‘‘দলের মধ্যে অনেককেই বলতে দেওয়া হচ্ছে না। অবেহেলার শিকার হয়ে কার্যকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে তত বিক্ষোভ বাড়ছে দলে। এটা শুভ সঙ্কেত নয়। ভাল সংগঠকদের কেন বসিয়ে রাখা হচ্ছে, রাজ্য যে দু’তিন জন চালাচ্ছেন তাঁদের দেখা উচিত।’’ তিনি আরও দাবি করেন, কিছু নেতা রয়েছেন যাঁরা সকালে বিজেপি, রাতে তৃণমূল। তাঁর কথায়, ‘‘দলের সর্বভারতীয় সভাপতি লোকসভা আসন ধরে রিপোর্ট দিতে বলেছেন। ক্ষোভের বিষয় যা দেখছি, তা পাঠাচ্ছি।’’ অনুষ্ঠানে দলের জেলা নেতারা নেই কেন? অনুপম বলেন, ‘‘সর্বভারতীয় সভাপতির নির্দেশে যাঁরা দলে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন, তাঁদের সামনে আনার চেষ্টা চালচ্ছি। যে ডাকবে, আমি আহ্বানে সাড়া দেব।’’
বিজেপির কাটোয়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘দলে কোনও কলহ নেই। ওটা দলের অনুষ্ঠান নয়। তাই জেলা নেতারা ছিলেন না। কেন্দ্রীয় নেতা কোথাও ব্যক্তিগত ডাকে সাড়া দিয়ে যেতেই পারেন। তা তাঁর নিজস্ব ব্যাপার।’’ তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য মুখপাত্র তথা কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগের কটাক্ষ, ‘‘সর্বত্রই বিজেপির গোষ্ঠীকলহ চলছে। লোকসভার ফলে তা বোঝা যাবে।’’