মঙ্গলকোটে সভা। নিজস্ব চিত্র।
দিন চারেক আগে কাটোয়ার মুস্থুলির সভায় এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা চৈতন্যের দীক্ষাস্থল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। মঙ্গলবার মঙ্গলকোটে তৃণমূলের সভায় সেই মন্তব্য নিয়ে সরব হলেন দলের বীরভূম জেলা সভাপতি তথা মঙ্গলকোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর দাবি, বিজেপি নেতারা বাংলার সংস্কৃতি কিছু জানেন না, সে কারণেই চৈতন্যের দীক্ষাস্থল নিয়ে ভুল তথ্য দিয়ে গিয়েছেন। কৃষি আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রীয় সরকার জোর ধাক্কা খেয়েছে বলেও এ দিন দাবি করেন তিনি।
মঙ্গলকোট বটতলার কাছে এ দিন বিকেলে কৃষি আইনের বিরোধিতায় তৃণমূলের সভার আয়োজন করা হয়। অনুব্রত ছাড়াও, ছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সহ-সভাপতি রানা সিংহ, বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, মঙ্গলকোট ব্লক তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব চৌধুরীরা। অনুব্রত বক্তব্য রাখতে গিয়েই নড্ডার বিতর্কিত বক্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করেন। তাঁর দাবি, ‘‘বিজেপি নেতারা বাংলাটা ভাল করে জানেন না। তাই চৈতন্যদেবের দীক্ষাস্থল নিয়ে ভুল কথা বলছেন। চৈতন্যদেবের দীক্ষাস্থল কাটোয়া। অথচ, যেখানে (জগদানন্দপুর গ্রাম) পুজো দিলেন, সেখানে দীক্ষা নিয়েছেন বলছেন। দিলীপ ঘোষ আবার দাবি করছেন, ওটাই ঠিক।’’
অনুব্রতের আরও দাবি, ‘‘কৃষি আইন বিজেপি জোর করে সংসদে পাশ করিয়ে দিল। মানুষ কী চান, তা দেখল না। আজ সুপ্রিম কোর্ট মানুষের পক্ষে, কৃষকের পক্ষে রায় দিল।’’ সভা শেষে অনুব্রত দাবি করেন, ‘‘কৃষিতে পরপর ছ’বছর আমরা পুরস্কার পেয়েছি। দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে আছি। দিলীপ ঘোষের পরিবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করিয়েছে। উপায় নেই, দেখছে দলটা (বিজেপি) মুছে যাবে।’’
বিজেপির জেলা সম্পাদক তথা মঙ্গলকোটের নেতা রানাপ্রতাপ গোস্বামীর পাল্টা দাবি, ‘‘উনি ভুলভাল কথা বলেন। বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে বুঝতে পেরে আগে থেকে গান গাওয়া শুরু করেছেন।’’