Anubrata Mandal

অনুব্রতের আবার জেল হেফাজত, সিবিআইয়ের দাবি, মিলেছে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট, নতুন গাড়ি

চোদ্দ দিন পর বৃহস্পতিবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে অনুব্রতকে পেশ করা হয়। এই মামলায় জামিনের জন্য কলকাতা হাই কোর্টে অনুব্রত আবেদন করলেও আদালত তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:০১
Share:

অনুব্রতের আবার জেল হেফাজত। ফাইল চিত্র।

আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে অনুব্রত মণ্ডলকে পেশ করার আগেই আসানসোল সংশোধনাগারে হাজির হলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা। সিবিআইয়ের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বীরভূমের সিউড়ি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে থাকা ভুয়ো অ্যাকাউন্ট নিয়ে তদন্তকারীরা অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। বুধবার আদালতেও এই বিষয়টি তুলে ধরেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। অনুব্রতর আইনজীবী অবশ্য জামিনের আবেদন করেননি। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুব্রতকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ওই দিনই গরুপাচারকাণ্ডে আবার শুনানি হবে।

Advertisement

চোদ্দ দিন পর বৃহস্পতিবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে অনুব্রতকে পেশ করা হয়। এই মামলায় জামিনের জন্য কলকাতা হাই কোর্টে আগেই আবেদন করেছিলেন অনুব্রত। উচ্চ আদালত তৃণমূল নেতার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। গত চোদ্দো দিন ধরে আসানসোল সংশোধনাগারে থাকাকালীন বীরভূম জেলার সিউড়ি কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কে বেনামে প্রায় ১৭৭টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিস পান গরুপাচারকাণ্ডে তদন্তকারী সিবিআই আধিকারিকেরা। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এই রকম আরও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে বলে সিবিআই মনে করছে। এই সমস্ত তথ্য বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে আসানসোল আদালতে জমা দেওয়া হয়।

Advertisement

আদালতে সিবিআই দাবি করে, বীরভূম কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কে ২৩১টি ভুয়ো একাউন্ট পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে ২০০টি অ্যাকাউন্ট একজনের সই দিয়ে খোলা হয়েছিল বলে সিবিআইয়ের দাবি। এ ছাড়াও আদালতে বাফারিং অ্যাকাউন্টের কথাও তুলে ধরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। অর্থাৎ, এই ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে আর্থিক লেনদেনের হদিস পেয়েছে সিবিআই। এই অ্যাকাউন্টগুলি যাদের নামে খোলা হয়েছে, তাদের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই জানতে পেরেছে, গ্রাহকরা পঞ্চায়েতে আধার কার্ড জমা দিয়েছিলেন। তাঁদের গোপন জবানবন্দি নেয়ে সিবিআই আধিকারিকরা যে তথ্য পেয়েছেন, তা আদালতে জমা দেন তাঁদের আইনজীবী। আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী দাবি করেন, আরও একটি নতুন গাড়ির সন্ধান পেয়েছেন তাঁরা।

কয়েক মাস ধরে টাকা না দেওয়ার জন্য ভোলে বোম রাইস মিলের বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় সংশ্লিষ্ট দফতর। অনুব্রতর আইনজীবী আবেদন রাইস মিলের অ্যাকাউন্ট ‘ডিফ্রিজিং’ করার জন্য এবং যাবতীয় বকেয়া মেটানোর জন্য আদালতে আবেদন জানান। এ বিষয়ে আলাদা আবেদন করার নির্দেশ দেন বিচারক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement