—প্রতীকী চিত্র।
নিজস্ব সংবাদদাতা
রানিগঞ্জ
কালীপুজোর দিন রাত যত বাড়তে থাকে, শব্দবাজির তাণ্ডব তত বাড়ে। এমন অভিযোগ প্রতি বছরই ওঠে। শব্দবাজি নিষিদ্ধ করার পরে, পরিবেশবান্ধব সবুজ আতশবাজি বিক্রির সরকারি নির্দেশ জারি হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম বর্ধমানে ৪০ জন পরিবেশবান্ধব সবুজ আতশবাজি বাজি বিক্রি করার অনুমতি পেয়েছেন। নির্দেশ লঙ্ঘিত হলে, কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে জানানো হয়েছে।
কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি বন্ধ করতে পুলিশের ‘কুইক রেসপন্স টিম’-এর পাশাপাশি, সাদা পোশাকের পুলিশকর্মীরা মোটরবাইক, গাড়ি ও রাস্তায় টহলদারি চালাচ্ছেন। সচেতনামূলক প্রচারও চলছে। প্রশাসনের এই উদ্যোগ কাজে লাগবে কি না, তা নিয়ে নিশ্চিন্ত হতে পারছেন জেলার প্রবীণ বাসিন্দারা।
কী ভাবে মিলেছে সবুজবাজি বিক্রির অনুমতি? জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অনলাইনে আবেদন জানাতে হয়। নিজস্ব জায়গা, ফায়ার লাইসেন্স থাকা চাই। এ ছাড়া, পুলিশের রিপোর্ট দেখে অনুমতি দেওয়া হয়। জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) এস পুন্নমবলম জানান, প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানোর সময়ে, যে জায়গায় কথা উল্লেখ করেছেন, সেখানেই সবুজবাজি বিক্রি করতে হবে। বাজি বিক্রেতা অজিত সরকার ও কাঞ্চন লাহাদের দাবি, সবুজবাজি হিসেবে তারাফুল, তুবড়ি, চরকি, রোসনাই বিক্রি করছেন তাঁরা। শব্দবাজির চাহিদা থাকে না বলেও দাবি তাঁদের।
প্রশাসন নিয়ম করে দিলেও, সবুজবাজির আড়ালে শব্দবাজি বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে জেলার নানা প্রান্ত থেকে। যেমন চকলেট, পটকার মতো শব্দবাজি বিক্রি হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাজি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, কলকাতার বেগমপুর, উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচরাপাড়া, ধানবাদ, শিবকাশী থেকে শব্দবাজি জেলায় ঢুকেছে। ডিসি (সেন্ট্রাল) কুলদীপ সেনাওয়ানে, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আসানসোলের অধিকর্তা সুদীপ ভট্টাচার্যেরা বলেন, “নিয়মিত নজরদারি চালানো হচ্ছে। নিষিদ্ধ বাজি বিক্রির অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মজদুর সভার দাবি
রানিগঞ্জ: রাষ্ট্রায়ত্ত কয়লা উত্তোলক সংস্থা ইসিএলের জামবাদ কোলিয়ারি চত্বরে কয়লা শিল্পকে বেসরকারিকরণের অভিযোগের প্রতিবাদে বিক্ষোভ হল শনিবার। ভারতের কোলিয়ারি মজদুর সভার নেতৃত্বে ঘণ্টা দুয়েক বিক্ষোভ চলে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সিটুর রাজ্য সভাপতি সুভাষ মুখোপাধ্যায়।
মজদুর সভার সাধারণ সম্পাদক বংশগোপাল চৌধুরী জানিয়েছেন, প্রচুর কয়লা মজুত থাকার পরেও, খোলামুখ খনি ও ভূগর্ভস্থ খনি বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। তার প্রতিবাদে আন্দোলন জোরদার করতে প্রতিটি
খনিতে এই বিক্ষোভ হবে।
নিজস্ব সংবাদদাতা