বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
তিন দিন আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন ভাতারের একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের এক সহায়িকা। শুক্রবার এলাকার এক মাঠে বিষ খেয়ে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় রুমা পাঁজা নামে ওই মহিলাকে। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫২ বছরের রুমার বাড়ি ভাতারের বলগোনা গ্রামে। স্থানীয় একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকা পদে কাজ করতেন। বাড়িতে রয়েছেন স্বামী, এক ছেলে, পুত্রবধূ এবং নাতনি। স্বামী উদয় পাঁজা একটি চালকলে কাজ করেন।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বুধবার বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান রুমাদেবী। পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা খোঁজ করছিলেন। শুক্রবার ভাতারের কুলচণ্ডা এবং ভুমশোর গ্রামের মাঝামাঝি এলাকার এক মাঠে ওই মহিলাকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পান কয়েক জন গোপালক। তাঁরা গ্রামের লোক জনদের জানান। এর পরে পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ মহিলাকে মাঠ থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এক কৃষকের ট্রাক্টরে চাপিয়ে রুমাকে ভাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন।
কী কারণে রুমা বাড়ি থেকে পালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন, তা জানা এখনও যায়নি। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয়দের একাংশ জানিয়েছেন, রুমার অনেক ধারদেনা ছিল। মনে করা হচ্ছে, সে কারণে বিষ খেয়েছিলেন তিনি।