অমরনাথের পথে বিপর্যয়
অমরনাথ যাত্রায় গিয়ে নিখোঁজ হাওড়ার একই পরিবারের তিন জন। ছোট আর মেজো মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে অমরনাথ যাত্রায় গিয়েছিলেন মা। বাড়িতে ছিলেন বড় মেয়ে সোমা সিংহ। শুক্রবার বিকেলে বিপর্যয়ের পর তাঁকে ফোন করে মায়ের নিখোঁজ হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন ছোট বোন। তার পর অনেক বার চেষ্টা করলেও দুই বোনের কারও সঙ্গেই যোগাযোগ করতে পারেননি সোমা। বাধ্য হয়ে এ বার প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন তিনি।
গত ২ জুলাই হাওড়া থেকে হিমগিরি এক্সপ্রেসে শ্রীনগরের উদ্দেশে রওনা দেন মধ্য হাওড়ার কালীবাবুর বাজার এলাকায় বাসিন্দা গৃহকর্ত্রী সত্তর বছরের শিলা সিংহ ও তাঁর দুই মেয়ে ঝুমা আর প্রীতি। ঝুমা মেজো আর প্রীতি ছোট মেয়ে। সোমা জানান, শুরুতে সবই ঠিক ছিল। বেশ কয়েক বার মা ও দুই বোনের সঙ্গে ফোনে কথাও হয়েছে। বিপত্তি ঘটে শুক্রবার বিকেল নাগাদ। ছোট বোন প্রীতি হঠাৎ ফোন করে কাঁদতে কাঁদতে জানান, মাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সকাল থেকে ঝেঁপে বৃষ্টি আর আকাশ চিড়ে বিদ্যুৎ। হড়পা বানে তাবু ভেসে যাওয়ার পর থেকে নিখোঁজ তাঁদের মা। সোমার কথায়, ‘‘মাকে খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে ফোন কেটে দিয়েছিল বোন। তার পর অনেক বার ফোন করেছি ওঁদের। কিন্তু এক বারও ফোনে পায়নি।’’
মা ও দুই মেয়ে
সোমা জানান, শুক্রবার বিকেলে ছোট বোনের সঙ্গে তাঁর শেষ বার কথা হয়েছিল। তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত তাঁদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারেনি তিনি। বাধ্য হয়ে শেষমেশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে জানিয়েছেন, কন্ট্রোল রুম খুলে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের তরফে হেল্পলাইন নম্বর ০৩৩-২২১৪৫২৬ চালু করা হয়েছে। এই নম্বরটি ২৪ ঘণ্টাই চালু থাকবে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকেলে কাশ্মীরের বালতাল এলাকায় মেঘ ভেঙে বৃষ্টির ফলে অন্তত ১৬ জন অমরনাথ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজের সংখ্যা অন্তত ৪০ জন।