প্রতীকী ছবি
‘প্রেমিকের’ সাহায্য নিয়ে স্বামীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক মহিলাকে। কাটোয়ার জগদানন্দপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে মাধব বাগ (৩৮) নামে ওই ব্যক্তিকে গলায় মশারির দড়ির ফাঁস দিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। শুক্রবার রাতে নিহতের স্ত্রী সুমা বাগকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর ‘প্রেমিক’ নারান প্রধান পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই দম্পতির দু’টি সন্তান রয়েছে। গ্রামে মাধববাবুর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই নারানের বাড়ি। মাধববাবুর পরিজনদের অভিযোগ, নারানের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সুমার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এ নিয়ে দম্পতির মধ্যে প্রায়ই অশান্তি হত। নিহতের দাদা গদাই বাগের অভিযোগ, ‘‘নারান প্রায়ই শাড়ি-সহ নানা উপহার দিত সুমাকে। ভাই এই সম্পর্কের প্রতিবাদ করলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখাত সুমা।’’ পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার ভোরে মাঠে চাষের কাজে যাওয়ার জন্য তার মাধববাবুকে ডাকতে যান তাঁর ভাই। সেই সময়ে দেখা যায়, তাঁর গলায় মশারির দড়ি জড়ানো রয়েছে। সুমা কান্নাকাটি করছেন। তিনি মাধববাবুর গলায় কালশিটের দাগ মোছারও চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ।
পরিজন ও পড়শিদের একাংশের দাবি, ঘটনার পরে তাঁদের সন্দেহ গিয়ে পড়ে সুমার উপরেই। জিজ্ঞাসাবাদ করে চাপ দেওয়া হতেই তিনি খুনের কথা স্বীকার করেন বলে দাবি করেন তাঁরা। পুলিশের দাবি, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ‘প্রেমিকের’ সাহায্য নিয়েই স্বামীকে খুন করছেন মহিলা। শনিবার ধৃতকে কাটোয়া আদালতে তোলা হলে ১০ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। তাঁকে জেরা করে বিশদ তথ্য পাওয়ার চেষ্টা হবে বলে জানান তদন্তকারীরা।
জগদানন্দপুর পঞ্চায়েতের প্রধান গৌতম ঘোষাল দাবি করেন, ‘‘ওই মহিলা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে এলাকার মানুষজনের কাছে জেনেছি। তার জেরেই এই খুন বলে মনে করা হচ্ছে। খুনির শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’’ নিহতের বাবা কালাচাঁদ বাগ বলেন, ‘‘আমার ছেলেকে যে ভাবে ষড়যন্ত্র করে খুন করা হল, সে জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’’