—প্রতীকী চিত্র।
কখনও তাপপ্রবাহ। কখনও ভারী বৃষ্টি। এতে ক্ষতি হয় চাষের। জোগান কমে আনাজের। বাড়ে দাম। এই পরিস্থিতিতে বাড়ির উঠোনে ও পড়ে থাকা জমিতে সহজ পদ্ধতিতে আনাজ চাষের পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি এবং উদ্যানপালন বিভাগের আধিকারিকেরা।
এক সময়ে গ্রামাঞ্চলে প্রায় প্রত্যেক ঘরেই কিছু না কিছু আনাজের চাষ হত। পুঁই ও লাল শাক, লাউ, কুমড়ো, ছাঁচি কুমড়োর মতো আনাজ দেখা যেত ঘরে ঘরে। তেমনই মিলত সজনে ডাঁটা। বাড়ি লাগোয়া পুকুর ঘাটে দেখা যেত কলমি শাক। সময়ের প্রবাহে গ্রামের ছবি বদলেছে। এখন আর বাড়িতে আনাজ চাষে উৎসাহ দেখা যায় না। একান্নবর্তী পরিবার ভেঙে যাওয়ায় জমিও ভাগ হয়েছে। তার ফলে ঘরে আনাজ চাষের প্রবণতাও কমেছে।
নদিয়া জেলার এক উদ্যান পালন আধিকারিক পলাশ সাঁতরা (অতীতে পূর্ব বর্ধমানে কাজ করেছেন) বলেন, ‘‘অসংখ্য বাড়ির উঠোনে প্রচুর আনাজ উৎপাদন হত গ্রামে। ফের তা ফিরিয়ে আনতে হবে। বাড়িতে বা আশপাশে আনাজ পেলে বাজারে যেতে হবে না। আনাজের চাহিদা যেমন মিটবে, তেমনই দামের ছেঁকা টের পাবেন না তাঁরা।’’ তাঁর কথায়, ‘‘কেজি প্রতি আদার দর অনেক সময়ে ৪০০ টাকা ছুঁয়ে যায়। অথচ, কয়েকটি
বস্তায় মাটি এবং জৈব সার মিশিয়ে আদার বীজ পুঁতে সামান্য পরিচর্যা করলেই সারা বছর আদা পেতে অসুবিধা হবে না।’’
জেলার এক সহ-কৃষি অধিকর্তা পার্থ ঘোষের পরামর্শ, ‘‘গ্রামাঞ্চলে বহু বাড়িতে আর আগের মতো ফাঁকা জায়গা পড়ে নেই ঠিকই, তবে তার মধ্যে যেটুকু অংশে মাটি মিলবে, সেখানে ধনেপাতা, লাল শাক-সহ বেশ কিছু আনাজের বীজ ছড়ালে উপকার হবে। উঁচু জমিতে লাউ, কুমড়োর মতো ফসল ফলাতে হবে। শহরাঞ্চলে ছাদবাগান তৈরি করা যায়। ছোট জমিতে ফসল ফলানোর উপায় জানাতে আলোচনাসভা হয়। চাষিদের সে সব কৌশল শেখানো হয়।’’