Monsoon Onions Farming

বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষে উৎসাহ, ভাল দরের আশ্বাস

পূর্ব বর্ধমানে সব থেকে বেশি পেঁয়াজ চাষ হয় পূর্বস্থলী ১, পূর্বস্থলী ২ এবং কালনা ২ ব্লকে। মূলত সুখসাগর প্রজাতির পেঁয়াজ চাষ হয়। রং এবং ভাল আকারের জন্য এর চাহিদা বেশি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২৪ ০৮:৪২
Share:

পেঁয়াজ চাষিদের সঙ্গে কথা বলছেন আধিকারিকেরা। নিজস্ব চিত্র ।

পেঁয়াজ চাষ, সংরক্ষণের পরিকাঠামো ঘুরে দেখলেন রাজ্যের কৃষি বিপণন দফতরের কর্তারা। উৎপাদিত পেঁয়াজ চাষিদের থেকে কিনে সুফল বাংলার স্টল থেকে বিক্রি করারও আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, এতে চাষিরা যেমন ভাল দর পাবেন, তেমনি বাজারে পেঁয়াজের দর নিয়ন্ত্রণে থাকলে সাধারণ ক্রেতারাও সুবিধা পাবেন।

Advertisement

পূর্ব বর্ধমানে সব থেকে বেশি পেঁয়াজ চাষ হয় পূর্বস্থলী ১, পূর্বস্থলী ২ এবং কালনা ২ ব্লকে। মূলত সুখসাগর প্রজাতির পেঁয়াজ চাষ হয়। রং এবং ভাল আকারের জন্য এর চাহিদা বেশি। তবে শীতকালীন পেঁয়াজ জমি থেকে ওঠার কয়েক মাসের মধ্যে জোগান কমে আসে। দামও বাড়তে থাকে। নাসিকের পেঁয়াজের উপরে নির্ভরতা বাড়ে। পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য উদ্যানপালন বিভাগের তরফে বাঁশের কাঠামো তৈরিতে চাষিদের ভর্তুকি দেওয়া হয়। রবিবার সংরক্ষণ কেন্দ্রগুলিতে চাষিরা কী ভাবে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করছেন, মজুত পেঁয়াজের পরিমাণ কত, পূর্বস্থলী ২ ব্লকের বাবুইডাঙা, রামকৃষ্ণপল্লী এলাকায় তা ঘুরে দেখেন সরকারি আধিকারিকেরা। চাষিদের সঙ্গে কথাবার্থা বলেন। ওই দলে ছিলেন রাজ্যের কৃষি ও কৃষি বিপণন দফতরের সচিব ওঙ্কার সিং মিনা, জয়েন্ট ডিরেক্টর গৌতম মুখোপাধ্যায়, ডেপুটি ডিরেক্টর প্রিয়দর্শী সেন, জেলার তিন সহ-কৃষি অধিকর্তা পার্থ ঘোষ, বিশ্বজিৎ মোদক ও সুকান্ত মুখোপাধ্যায়।

বেশ কিছু চাষি নিজেদের টিন, অ্যাসবেসটসের ছাউনি দেওয়া ঘরে পেঁয়াজ ঝুলিয়ে রাখেন। সেগুলিও ঘুরে দেখেন তাঁরা। সম্প্রতি পূর্বস্থলী ২ ব্লকে শুরু হয়েছে বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষ। উদ্যান পালন বিভাগ থেকে চাষিদের বীজ দেওয়া হয়েছে। মাঠে নেমেও চাষের পরিস্থিতি দেখেন আধিকারিকেরা। তাঁদের দাবি, সংরক্ষণ কেন্দ্রে মজুত পেঁয়াজ ভাল দরে কিনে নেওয়া হবে। মাঝে ফড়েরা না থাকায় চাষিরা ভাল দর পাবেন। ওই দলে থাকা পূর্বস্থলী উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এলাকার পেঁয়াজ সংরক্ষণ পদ্ধতি এবং পেঁয়াজের গুনগত মান দেখে সরকারি আধিকারিকেরা খুশি হয়েছেন। আরও বেশি করে সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়ায় সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।’’ বিধায়কের দাবি, ভাল দরে যাতে আনাজ কেনার ব্যাপারেও কৃষি ও কৃষি বিপণন দফতরের সচিবকে জানানো হয়েছে।

Advertisement

পূর্বস্থলী ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি কালীশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পেঁয়াজের ব্যাপারে নাসিকের উপরে নির্ভরতা কমাতে পরিদর্শনকারী দলের সদস্যেরা বেশি করে বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষে উৎসাহিত করেছেন।’’ চাষিদের কয়েক জন পাটের ভাল দর মিলছে না বলেও আধিকারিকদের জানান। কৃষি ও কৃষি বিপণন দফতরের সচিব পাটের বিষয়টি জেসিআইকে চিঠি লিখে জানাবেন বলে আশ্বস্ত করেন। এ দিন পূর্বস্থলী ১ ব্লকের কুলডাঙা এবং কালনা ২ ব্লকে কেলনই, খাগরাকুর এলাকায় পেঁয়াজ সংরক্ষণের পরিকাঠামো এবং পেঁয়াজের পরিমাণ কতটা রয়েছে তা ঘুরে দেখা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement