—ফাইল চিত্র
মহকুমাশাসকের (দুর্গাপুর) উদ্যোগে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তার পরেও ডিপিএলে চাকরির দাবিতে কর্মরত অবস্থায় মৃত নিকট আত্মীয়দের অবস্থান-বিক্ষোভ চলছে। অচলাবস্থা কাটেনি সোমবারও।
চাকরির দাবিতে দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে তাঁরা বিক্ষোভ করছেন। তাঁদের দাবি, ২০১২ সালে শেষ বার কর্মরত অবস্থায় মৃত কর্মীর পরিবারের নিকট আত্মীয়দের চাকরি দেওয়া হয়েছিল ডিপিএলে। এখনও প্রায় ১৮০ জন রয়েছেন যাঁরা চাকরি পাননি। ২০১২ থেকেই তাঁরা আন্দোলন করছেন। কিন্তু ফল হয়নি বলে অভিযোগ। সম্প্রতি মহকুমাশাসকের কাছে চিঠি দিয়ে বিক্ষোভকারীরা দাবি করেছেন, ডিপিএল কর্তৃপক্ষ যদি তাঁদের দাবি না মানেন, তা হলে তাঁরা স্বেচ্ছামৃত্যুর পথ বেছে নেবেন। অন্য দিকে, আন্দোলনকারীদের সরাতে মহকুমা প্রশাসনের কাছে সেখানে ১৪৪ ধারা জারির লিখিত আর্জি জানান ডিপিএল কর্তৃপক্ষ।
অচলাবস্থা কাটাতে শনিবার মহকুমাশাসক (দুর্গাপুর) অর্ঘ্যপ্রসূন কাজি বিক্ষোভকারী এবং ডিপিএল কর্তৃপক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেন। অবিলম্বে বিক্ষোভ বন্ধ করার জন্য ডিপিএল কর্তৃপক্ষ এবং বিক্ষোভকারীদের প্রয়োজনীয় উদ্যোগী হতে আর্জি জানান। বিক্ষোভকারীদের তরফে অরিন্দম চৌধুরী বলেন, ‘‘ডিপিএল কর্তৃপক্ষের লিখিত আশ্বাস না পেলে আমরা উঠব না।’’ এ দিকে, ডিপিএল কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁদের তরফে যা করণীয় তা করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতরে। মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘অচলাবস্থা দূর করার জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বলা হয়েছে।’’
যদিও এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সোমবারও বিক্ষোভ চলছে। তবে আগের থেকে সংখ্যায় কম বিক্ষোভকারীরা রয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, নিশ্চিত আশ্বাস না মেলা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে। ডিপিএলের জনসংযোগ আধিকারিক স্বাগতা মিত্র বলেন, ‘‘সহানুভূতির সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বিষয়টি দেখা হচ্ছে। ডিপিএলের যা করণীয়, তা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চললে অশান্তির সম্ভাবনা রয়ে যায়। তাই যত দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় তত সকলের জন্যই ভাল।