স্কুলের সামনে বিক্ষোভ অভিভাবকদের। নিজস্ব চিত্র
সিবিএসই অনুমোদিত স্কুলগুলির পক্ষ থেকে সম্মিলিত ভাবে বিবৃতি জারি করে শনিবার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনও ভাবেই ‘ফি’ মকুব করা যাবে না। ‘লেট ফাইন’ ছাড়া, দু’তিন ভাগে তা দেওয়া যাবে। কিন্তু তা মানতে রাজি নন দুর্গাপুরের অভিভাবকদের একাংশ। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার বিধাননগরের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের অভিভাবকেরা স্কুলের সামনে জড়ো হয়ে ‘নো স্কুল, নো ফি’-এর দাবি জানান।
দুর্গাপুরে বেশ কিছুদিন ধরেই অভিভাবকদের একাংশ বিভিন্ন স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তাঁদের দাবি, লকডাউনে কারও রোজগার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কারও রোজগারে টান পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে স্কুলের ‘ফি’ দেওয়া তাঁদের পক্ষ থেকে সম্ভব নয়। বিশেষ করে দুঃস্থদের জন্য ‘ফি’ মকুবের দাবি জানানো হয়েছে। অন্য দিকে, স্কুলগুলির দাবি, বর্তমান পরিস্থিতিতে ‘অনলাইন ক্লাস’ চালু রেখে শিক্ষাব্য বস্থা বজায় রাখা হয়েছে। স্কুলের সব পরিকাঠামো বজায় রাখতে আগের মতোই খরচ হচ্ছে। কিন্তু ‘টিউশন ফি’ না পাওয়ায় আয় তলানিতে ঠেকেছে।
‘ফি’ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলিকে আরও মানবিক হওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। তার পরেও নানা অভিযোগ উঠছে দুর্গাপুরে। এ দিন সকালে বিধাননগরের ওই স্কুলে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে জড়ো হন অভিভাবকেরা। তাঁদের অভিযোগ, মোবাইলে ফোন করে, এমএমএস পাঠিয়ে ‘ফি’ দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। তাঁদের অনেকেরই কাজ চলে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ‘ফি’ দিতে তাঁরা অপারগ। বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখানোর পরে তাঁরা চলে যান। এ বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, ‘ফি’ নিয়ে সম্মিলিত ভাবে বিবৃতি দিয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে অভিভাবকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলা হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।